
ইসরাইলি হামলায় আহত এক ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এক মাস ধরে চলা ইসরাইলি অবরোধের মধ্যে রবিবার আবারও এই হামলার ঘটনা ঘটে। রবিবার গাজা উপত্যকার দেইর আল বালাহতে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর আশ্রয় নেওয়া তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। খবর আলজাজিরার।
এর আগে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, রবিবার গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় আরেকটি তাঁবুতে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান বোমা হামলা চালালে তালাইব পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন। পরিবারের এক সদস্য ওমর আবু আল কাস একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেনÑ তিন শিশু, তাদের মা এবং তার স্বামী একটি তাঁবুর ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন এবং ইসরাইলের একটি বিমান থেকে তাদের ওপর বোমাবর্ষণ করা হয়। আবু আল কাস বলেন, কোনো সতর্কীকরণ ছাড়াই এবং কোনো ভুল করা না হলেও হামলা চালানো হয়েছে।
এ ছাড়া গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় ইসরাইলের ড্রোন হামলায় ছয়জন নিহত হন এবং শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় আরও একজন নিহত হন। সেখানকার জাকৌত পরিবারের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। পাশাপাশি রাফার তীরে ইসরাইলের হামলায় মোহাম্মদ সাঈদ আল বারদাউইল নামে একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাফাহর পশ্চিমে আল মাওয়াসি মানবিক অঞ্চলে হামলায় আরও দুই বেসামরিক ব্যক্তি আহত হন।
এদিকে ভয়াবহ মানবিক সংকট এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে মুসলিম দেশগুলোকে গাজার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। রবিবার তেহরানে দেওয়া এক বক্তব্যে গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইল ও পশ্চিমা বিশ্বকে দায়ী করেন খামেনি।