ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত 

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ২৯ মার্চ ২০২৩

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত 

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপিত এবং  বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু হলরুমে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত, দরিদ্র দেশ থেকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে আজ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনকেন্দ্রিক উন্নয়নের মডেল দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে এই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী নীতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল আমাদের দ্রুত প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর এবং স্বনির্ভরতার দিকে নিয়ে গেছে। 

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়কে ত্বরান্বিত করার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে এবং কূটনৈতিক ফ্রন্টে যারা সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছেন, সেই সব বন্ধুপ্রতিম দেশগুলির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।  

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখি-সমৃদ্ধ-উন্নত দেশে রূপান্তর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’অভিযাত্রা  শুরু করেছেন। এই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। ব

ঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত পররাষ্ট্র নীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ এর কথা  উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে আমরা গভীরভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি। তিনি জাতিসংঘের বহুপাক্ষিকতা এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায়  প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের ১০০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদেরকে ইফতার এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।

এমএম

×