ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

৫ উপায়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কার্যকরী সমাধান

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ৩ আগস্ট ২০২৫

৫ উপায়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কার্যকরী সমাধান

ছবি: সংগৃহীত।

গ্যাস্ট্রিক বা অম্লতা-বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের একটি বহুল প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেই প্রায়ই পেটের জ্বালাপোড়া, বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব কিংবা অস্বস্তিতে ভোগেন, যা সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ। ভুল খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন ও মানসিক চাপ এই সমস্যার প্রধান কারণ। তবে চিকিৎসকদের মতে, কিছু ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে দ্রুত ও কার্যকরভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার ৫ কার্যকরী উপায়-

১. খাবারের নিয়ম ও পরিমাণ ঠিক রাখা:
অনিয়মিত ও অতিরিক্ত খাওয়া গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ছোট পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত ঝাল ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা উচিত।

২. আদা ও তুলসি পাতার ব্যবহার:
আদা ও তুলসি গ্যাস্ট্রিকের প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এক কাপ গরম পানিতে আদা বা তুলসি পাতা সেদ্ধ করে দিনে ২-৩ বার খেলে হজমে সহায়তা করে ও অম্লতা কমায়।

৩. পর্যাপ্ত পানি পান করা:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ কমে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। বিশেষ করে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ও পরে পানি পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৪. খালি পেটে চা বা কফি এড়িয়ে চলা:
খালি পেটে চা বা কফি পান করলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন বেড়ে যায়, যা গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে তোলে। তাই দিনের শুরুতে হালকা কিছু খেয়ে তবেই চা-কফি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৫. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণে প্রভাব ফেলে। তাই নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, বা পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পেপটিক আলসারে রূপ নিতে পারে। তাই প্রাথমিক পর্যায়েই জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। কোনো ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্বস্তি না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা জরুরি।

গ্যাস্ট্রিক যেন নিত্যদিনের সমস্যা না হয়, সেজন্য খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা ও জীবনযাত্রার সঠিক নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

মিরাজ খান

×