
আন্দোলন, সংগ্রামে বরাবরই প্রেরণা জুগিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান। সবশেষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অনুপ্রেরণায়ও ছিলেন নজরুল। তাঁর উদ্দীপনামূলক ১০টি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। অ্যালবামের প্রকাশনা উপলক্ষে ৩০ মে একটি কনসার্টেরও আয়োজন করা হয়েছে। মানিক মিয়া এভিনিউতে আয়োজিত এই কনসার্টে গাইবে ১০টি ব্যান্ড। অ্যালবামটিতে অংশ নেবে ওয়ারফেজ, সোলস, দলছুট, আর্ক, শিরোনামহীন, ডিফারেন্ট টাচ, এমএনবি, রেবেল, ব্ল্যাক ও এফ মাইনর ব্যান্ড। দর্শকরা বিনা মূল্যে কনসার্টটি উপভোগ করতে পারবেন। কনসার্টে অ্যালবামের ১০টি গান গাওয়ার পাশাপাশি নজরুলের আরও কয়েকটি উদ্দীপনামূলক গান পরিবেশন করবে ব্যান্ডগুলো। গানের পাশাপাশি থাকবে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি থেকে শুরু করে আরও কিছু আয়োজন।
কনসার্টটি নিয়ে নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার এজেন্ডায় এই অ্যালবাম ও কনসার্ট ছিল। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার ৭ কর্মসূচিতেও এটি গুরুত্বসহকারে জায়গা পায়। এই যে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে আমরা একটি বৈষম্যহীন দেশের দিকে এগোচ্ছি, নজরুলের গান কিন্তু অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তাই অ্যালবামটিকে আমরা একটা দায় হিসেবে নিয়েছি। গত কয়েক মাসে দেশের সব বড় ব্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ১০টি ব্যান্ডকে নজরুলের উদ্দীপনামূলক গানগুলো রেকর্ড করার দায়িত্ব দিই। ৩০ মে অ্যালবামটি প্রকাশ পাবে, সে উপলক্ষেই এ কনসার্ট।’
অ্যালবামটিতে জায়গা পেয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট, ‘এই শিকল-পরা ছল্’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘জাগো অনশন-বন্দি’, ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু’, ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা’, ‘পরদেশী মেঘ’ এবং ‘জয় হোক জয় হোক’ গানগুলো। কথা, সুর ও স্বরলিপির নির্দেশনা মেনেই গানগুলো তৈরি হচ্ছে।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ৩০ মে কনসার্টের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এদিন বিকেল ৫টায় শুরু হবে কনসার্ট। দর্শকেরা বিনা মূল্যে কনসার্টটি উপভোগ করতে পারবেন। অ্যালবামটির প্রতিটি গান ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোয় প্রকাশ করা হবে।
প্যানেল