
ছবি: সংগৃহীত
৫০ বছর ধরে একটি ব্যান্ডের টিকে থাকা সত্যিই বিরল ঘটনা। সোলস এই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি শুধু একটি ব্যান্ড নয়, এটি বাংলাদেশের সংগীতজগতে একটি প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন নকীব খান।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস-এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যান্ডটির প্রাক্তন সদস্য, শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার নকীব খান এসব কথা জানান।
তিনি জানান, ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি ‘সুরারা’ নামে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৭৩ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় ‘সোলস’। তিনি নিজে ১৯৭৪ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন। তখন ব্যান্ডটি মৌলিক গান করত না, বরং কাভার ও ফোক গান করত। নকীব বলেন, আমি ব্যান্ডে যোগ দিয়েই প্রথম যে উদ্যোগটা নিয়েছিলাম, তা হলো নিজের লেখা ও সুরে মৌলিক গান তৈরি করা। কারণ আমি মনে করতাম, নিজস্ব গান ছাড়া কোনো ব্যান্ড দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আজ যখন দেখি সেই গানগুলো এখনও মানুষ শুনছে, ভালোবাসছে, তখন মনে হয় এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে গানগুলো পৌঁছেছে—এটাই ব্যান্ড সঙ্গীতের সৌন্দর্য।
সোলসের দীর্ঘ যাত্রায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুণী শিল্পীর অবদানকে স্মরণ করে নকীব খান বলেন, আমি ১৯৮৩ সালে ব্যান্ড ছেড়ে ঢাকায় চলে আসার পর আইয়ুব বাচ্চু সোলসের হাল ধরেন। তিনি নতুন গান তৈরি করে ব্যান্ডকে এগিয়ে নেন। পরে পার্থ প্রতিম মজুমদার বহু বছর ধরে এই ব্যান্ডকে ধরে রেখেছেন। আমি তাকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাই।
বাংলা গানের ভবিষ্যত নিয়ে তিনি বলেন, বাংলা গানের দুইটি মূল স্তম্ভ—গানের কথা ও সুর। এই দুই উপাদান ঠিকভাবে না থাকলে গান টিকে থাকা কঠিন। সোলস আজও এই দুইটি উপাদান বজায় রেখেই গান তৈরি করছে। এ ধারা বজায় রাখা দরকার।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সোলস শুধু ৫০ নয়, ১০০ বছর টিকে থাকবে। বাংলা গানকে বাংলা গানের মতো করে টিকিয়ে রাখাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
এসএফ