.
ইতোমধ্যে বলিউড সিনেমা ‘অ্যানিমেল’ জায়গা করে নিয়েছে দেশের অধিকাংশ প্রেক্ষাগৃহ। জানা গেছে, দেশের সব মাল্টিপ্লেক্সসহ ৪৮টি হলে চলছে ছবিটি। এর মধ্যে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে এই ছবি ঘিরে দর্শকের আগ্রহ মন্দ নয়। সেই দাপটে ঢাকায় একটি হলও পায়নি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি সিনেমা ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’!
ছবিটি পরিচালনা করেছেন উজ্জ্বল কুমার। যদিও এর কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রয়াত ড. সাজেদুল আউয়াল। এমনকি তিনি নিজেই ছবিটি পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকারি অনুদানের জন্য জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে এই নির্মাতা মারা যান। ফলে অপূর্ণ থেকে যায় তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন নির্মাতার স্ত্রী বদরুন নেছা খানম। তিনি পুনরায় সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেন এবং পান। এরপর ছবির নির্মাণভার তুলে দেন সাজেদুল আউয়ালের প্রধান সহকারী উজ্জ্বল কুমারের হাতে। এভাবেই নির্মিত হয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’।
গেল অক্টোবরে মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার।’ এটি সাড়াও পেয়েছে বেশ। এর আগে ও পরে তাকে ঘিরে আরও কয়েকটি সিনেমা নির্মিত হয়েছে। তেমনই একটি ছবি ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’। শুক্রবার দেশের ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। পরিচালক উজ্জ্বলের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ঢাকায় কোনো হল পায়নি ছবিটি। প্রান্তিক অঞ্চলের ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে এটি দেখা যাবে।
ছবির গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে দেখা যাবে, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হিমাংশু দীর্ঘ ৫০ বছর পর নিজ দেশে আসেন। উদ্দেশ্য- চিত্রকলা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি গবেষণা। সেই সূত্রেই উঠে আসে স্বাধীনতা সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও দেশের চিত্রকলার বিভিন্ন অধ্যায়। এ ছাড়া হিমাংশুর জন্মভিটার বিষয়টিও আসে প্রসঙ্গক্রমে।
ছবিতে হিমাংশুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হামিদুর রহমান। এ ছাড়াও আছেন ফারজানা ছবি, নরেশ ভুঁইয়া, জাহিদ হোসেন শোভন, আমিনুর রহমান, কাজী রাজু, মাসুম বাশার, আশরাফুল আশীষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্রশিল্পী স্বপন চৌধুরী প্রমুখ। ছবিটি নির্মিত হয়েছে যোজনা প্রোডাকশনের ব্যানারে।