
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন। এই দিনে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সেই মহানায়ককে, যিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, স্বাধীনতার ঘোষক এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার।
শুক্রবার তাঁর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জামাল আহমেদ জেনিনের উদ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাসে নিম গাছ (জিয়া ট্রি) রোপণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, আহ্বায়ক সদস্য বুলবুল আহমেদ রাফি, আহ্বায়ক সদস্য ইমরান খান এবং বায়েজিদ আহমেদ জুনায়েদ, গোলাম মোদাচ্ছের সজীব, মোশতাক আহমেদ, মেহেদী হাসান শান্তসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
নিম গাছ রোপণের পেছনে রয়েছে এক গর্বিত ইতিহাস। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সৌদি বাদশাহ ফাহাদের আমন্ত্রণে সৌদি আরব সফরকালে উপহার হিসেবে নিয়ে যান নিম গাছের চারা। তিনি বলেছিলেন, “গরিব মানুষের দেশের গরিব রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে এই সামান্য উপহার।” বাদশাহ ফাহাদ আবেগে আপ্লুত হয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, এমন উপহার আগে কখনও পাননি।
এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়, এবং সেই নিমগাছ আজও সৌদির বিভিন্ন প্রান্তে ছায়া দিয়ে যাচ্ছে ‘জিয়া ট্রি’ বা ‘জিয়া সাজারাহ্’ নামে।
রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের জীবন ছিল দেশপ্রেম, সাহস এবং জনকল্যাণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর কণ্ঠেই প্রথম শোনা যায় স্বাধীনতার ঘোষণা। যুদ্ধে তিনি নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্সের মাধ্যমে। পরবর্তীতে দেশের নেতৃত্বে এসে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, উৎপাদনমুখী অর্থনীতি এবং আত্মনির্ভরশীলতার রূপরেখা দেন।
আজকের এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই সেই মহান নেতার প্রতি, যিনি তাঁর জীবন দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতা, নেতৃত্ব ও সম্মানের পথ দেখিয়েছেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শহীদ জিয়া, গণতন্ত্রের অগ্রদূত।
সানজানা