
বিশ্ব অর্থনীতির মঞ্চে যাঁরা টাকার রাজা, প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তায় যাঁরা গড়েছেন বিশাল সাম্রাজ্য—তাঁদের নিয়েই এবার প্রকাশিত হলো বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা। প্রযুক্তি, খুচরা ব্যবসা, ফ্যাশন কিংবা বিনিয়োগ—সব ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করে এই ব্যক্তিরা কেবল অর্থেই নয়, প্রভাবেও শীর্ষে।
চলুন দেখে নিই ২০২৫ সালের শুরুর দিকের হালনাগাদ তথ্যমতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ জন ব্যক্তির নাম ও তাঁদের সম্পদের খোঁজ:
🥇 ১. এলন মাস্ক
সম্পদ: টেসলা, স্পেসএক্স ও এক্স (সাবেক টুইটার)-এর মালিকানা তাঁকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসনে বসিয়েছে।
খুব সংক্ষেপে: প্রযুক্তির পাগল বিজ্ঞানী থেকে ট্রিলিয়ন ডলারের দৌড়!
🥈 ২. মার্ক জাকারবার্গ
সম্পদ: মেটা (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ)-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
বিশেষত্ব: তরুণ বয়সেই প্রযুক্তি জগতে ইতিহাস গড়া এক উদ্যোক্তা।
🥉 ৩. জেফ বেজোস
সম্পদ: অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা ও ব্লু অরিজিনের মালিক।
উপাধি: অনলাইন শপিংয়ের বিপ্লবী নেতা।
৪. ল্যারি এলিসন
সম্পদ: ওরাকল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
চিত্র: সফটওয়্যার সাম্রাজ্যের সম্রাট।
৫. ওয়ারেন বাফেট
সম্পদ: বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে বিনিয়োগ কোম্পানির কর্ণধার।
ট্যাগলাইন: "অরাকল অব ওমাহা", বিনিয়োগের কিংবদন্তি।
৬. বার্নার্ড আর্নল্ট
সম্পদ: এলভিএমএইচ (Louis Vuitton, Dior, Fendi)-এর মালিক।
বিশেষত্ব: বিলাসবহুল পণ্যের রাজা।
৭. ল্যারি পেইজ
সম্পদ: গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
উল্লেখযোগ্য: প্রযুক্তির অন্বেষক ও ভবিষ্যতের চিন্তক।
৮. সের্গেই ব্রিন
সম্পদ: গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
বিশেষত্ব: গোপনে কাজ করে যিনি গড়ে তুলেছেন গুগল সাম্রাজ্য।
৯. স্টিভ বালমার
সম্পদ: মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও ও বর্তমান এলএ ক্লিপার্স মালিক।
চিত্র: প্রযুক্তি থেকে ক্রীড়াবিশ্বেও সমান দক্ষ।
🔟 ১০. আমানসিও অর্তেগা
সম্পদ: জারা ও ইন্ডিটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।
বিশেষত্ব: বিশ্ব ফ্যাশন জগতের নীরব রাজা।
বিশ্বের এই ধনকুবেরদের একাংশ প্রযুক্তি জগত থেকে উঠে এসেছেন, অন্যদিকে কেউ আবার চিরাচরিত ব্যবসার মডেলকে আধুনিক করে গড়েছেন বৈশ্বিক অর্থনীতির চেহারা। শুধু সম্পদের পরিমাণ নয়, তাঁদের প্রভাব ছড়িয়ে আছে রাজনীতি, প্রযুক্তি, সামাজিক জীবন ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রতিটি শাখায়।
Jahan