
ছবি: সংগৃহীত
৫ দৃষ্টিনন্দন স্কুল পেয়েছে ঢাকার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। আধুনিক এই ভবনে শিক্ষার্থীরা পড়ার ভাল সুযোগ পাবেন। এমনটিই প্রত্যাশা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে ভাল ভবনই শেষ কথা নয়, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
রবিবার ঢাকায় উত্তরায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন উদ্বোধন করেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা। এ পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৯৬ লাখ আট হাজার টাকা। ভবনগুলো হলো- উত্তরার ‘আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; মিরপুর এক নম্বর ‘ওয়াক আপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; মিরপুর ১২ নম্বর ‘খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; ‘ডিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’ এবং গেন্ডারিয়াস্থ ধুপখোলা মাঠ সংলগ্ন ‘কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’। পাঁচটি ভবনের মধ্যে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট চারটি চারতলা ভবন এবং একটি তিনতলা ভবন রয়েছে। নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণ ক্ষমতা ২,৬৯৬ জন।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রাথমিক স্কুল নির্মিত হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষার জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা শুধু বই পড়ে শেখে না, তারা স্কুলের পরিবেশ ও কর্মসূচি থেকেও শেখে। সবচেয়ে বেশি শেখে তারা অভিভাবকদের কাছ থেকে, কারণ তারা তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটায়। তাই শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধু ভালো ভবন হলেই হবে না, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য সামান্য। প্রাথমিক পাশ করার পর একজন শিশু সাবলীলভাবে মাতৃভাষায় পড়তে, বুঝতে এবং লিখতে পারবে। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করতে পারবে-এটুকুই। এ লক্ষ্যে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আক্তার খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।
গত ২৬ ডিসেম্বর দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মিত আরও পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ১২টি থানায় ১৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পুনঃনির্মাণ, ১০টি মেরামত এবং ১৪টি নতুন বিদ্যালয় ভবন (উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি) স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২০ হতে জুন ২০২৭ পর্যন্ত। এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ১,৩৭২ কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। স্কুলগুলোর বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং নির্মাণকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
আসিফ