
রিতুর রং তুলি
মানুষ কল্পনায় কত কিছুই না ভাবে। নিজ কল্পনায় কেউ রাজা, কেউ রানী, কেউ খুব সুখী আবার হয়তো খুব একা। কল্পনাগুলো একদম অনন্য ও ভিন্ন ভিন্ন। সেই কল্পনা জগৎকে চিত্র শিল্পীরা পারে তাদের প্রতিভা দিয়ে এক টুকরো ক্যানভাসে প্রদর্শন করতে। তাদের হাতে কাছে যা পায় তাই দিয়ে ফুটিয়ে তুলে কোনো দৃশ্য কিংবা স্থির চিত্র। বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এমন একজন প্রতিভাসম্পন্ন শিক্ষার্থী শারমিম আফরিন রিতু। বেকার সময় কিংবা ক্লাসের ফাঁকে হাতে পেনসিল কিংবা কলম থাকলেই আঁকিবুঁকি করে রিতু। তার আঁকিবুঁকিতেও চিত্র ফুটিয়ে তুলে সবাইকে অবাক করে সে। আর যখন হাতের কাছে ক্যানভাস পায় সেটা কি আর বলতে হয়! রূপকথার জগৎটাও সে আঁকতে পারে।
স্কুলজীবন থেকেই আঁকতে পছন্দ করতো রিতু। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে পেয়েছে সেরা চিত্রাঙ্কন পুরস্কার। সুন্দর হাতের লেখা কিংবা রচনা প্রতিযোগিতায়ও ছিল সেরাদের সেরা। মূলত বাবার অনুপ্রেরণায় চিত্রাঙ্কনে মনোনিবেশ করে রিতু। বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়াল চিত্রতে দেখা যায় তার আঁকা চিত্র। পশুপালন অনুষদের করিডরে, অনুষদের ভবনে কিংবা সিঁড়িতে দেখা যায় তার আঁকা চিত্র।
রিতু বলে, পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকতে ভালো লাগে। তবে ক্যানভাস পেলে আমি সব ভুলে যেন চিত্র অংকনে ডুবে যাই। রং পেনসিল, পেস্টেল রং, জল রং কিংবা অ্যাক্রলিক রংসহ সব ধরনের রং ব্যবহার করতে পছন্দ করি। তবে অ্যাক্রলিক রঙে বেশি ভালো ছবি আঁকা যায়। জল রং সাধারণত না শুকিয়ে অন্য রং দিলে মিশে যায় রংগুলো। তবে অ্যাক্রলিক রঙে উজ্জ্বলতার পাশাপাশি কয়েকটি রং একসঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
কেমন ছবি আঁকতে পছন্দ করে জানতে চাইলে রিতু জানায়, কাল্পনিক জগৎ আর বিমূর্ত ছবি আঁকতে পছন্দ করি। ভবিষ্যতে আমি চিত্রাঙ্কন নিয়ে থাকতে চাই। আমি ক্যাম্পাস আসার পর থেকে অনেক আর্ট বিক্রিও করেছি। আমার বন্ধুর অনুপ্রেরণায় আমার আর্ট বিক্রিটা শুরু।
‘যে যেমন বলবে তেমন আঁকবো’ লিখে তার সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে আলোড়ন তৈরি করেছে। যার যেমন কল্পনা তেমন ছবি এঁকে ক্যাম্পাসে রূপকথার চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিতি করে নিয়েছে। কেউ বলেছে রিকশা আর এক ঝুম বৃষ্টি কেউ বলেছে বিষাদ! কেউ দেখতে চেয়েছে সুখী মানুষের চিত্র আবর কেউ চেয়েছে সূর্যমুখী ফুল। সবার কল্পনার বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরে মন জয় করেছে রিতু।