
লোগো।
চলতি বছরের মার্চে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। এরপর মাসের পর মাস অতিবাহিত হলে এখনো চূড়ান্ত সুপারিশ পাননি শিক্ষকরা। এর ফলে চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে শিক্ষকরা নানাভাবে জানার চেষ্টা করছেন। চূড়ান্ত সুপারিশ না হওয়ায় মানসিক হতাশায় ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর ফলে পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। অনেকের আর্থিক সংকট আছে। নানা সমস্যা নিয়ে শিক্ষকরা দিনযাপন করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে জানা যায় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান সংবাদমাধ্যমেক জানান, উক্ত সমস্যা সমাধানে সহায়তা ও মতামত চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইতিবাচক মতামত পেলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি থেকে শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের কাছে আবেদন করা হবে। তবে আবেদনের আগে আইন মন্ত্রণালয় কী বলে, তা দেখতে হবে।
এর আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ কালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব মো. ওবায়দুর রহমান জানিয়েছিলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ আগস্ট মাসের শেষ দিকে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রার্থীদের ভি-রোল পূরণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আমরা তাদের দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ করতে পারছি না।
এই বিষয়ে একজন বলেন, এই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক হয়েছি- এটা পরিবার, সমাজ, আত্মীয়স্বজনসহ সবাই জেনেছে। কিন্তু এখনো আমি চূড়ান্ত সুপারিশের মাধ্যমে জয়েন করতে না পারায় আমাকে নিয়ে সবার-ই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এটা হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কেননা, সবাই তো আমাকে কর্মক্ষেত্রে দেখতে চাই। এদিকে চাকরির বয়সও শেষ। তাই শেষ ভরসা ছিল এই চাকরি। কিন্ত এখানেও যে, এতো গড়িমসি সেটা দেখে খুবই খারাপ লাগছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক চাকরিপ্রার্থী বলেন, আসলে সত্যি বলতে আমাদের বেকারদের নিয়ে ভাবার যেন কেউ নেই? নির্ধারিত দায়িত্ব দেয়া থাকলেও সবাই যেন নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত। একজন বেকারের একটা চাকরির সাথে তার পরিবারসহ কত কিছু জড়িত সেটা ভাবকে কে?
এমএম