ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জবি আইন বিভাগের নবীনদের বরণ অনুষ্ঠিত

জবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ১৮:১৮, ২২ মার্চ ২০২৩

জবি আইন বিভাগের নবীনদের বরণ অনুষ্ঠিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের নবীন বরণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) আইন বিভাগে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নবীন বরণ।  এই দিন বিভাগের ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের নবীন বরণ করে নেয় বিভাগটি। 

বুধবার (২২ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ও আইন অনুষদের সম্মানিত ডীন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আইন বিভাগের নাম শুনলেই বঙ্গবন্ধু, হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী, আব্দুল হামিদ, কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলামের কথা মনে পড়ে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আর সংকট একে অন্যের পরিপূরক। আমাদের সুযোগ সুবিধা অনেক কম, মাত্র ৭ একর জায়গা। এখানে হাটার মত অবস্তা নাই, ক্লাস রুমের সংকট, সেমিনারের সংকট তার মধ্যে আমাদের অর্জনগুলো ফেলে দেওয়ার মত না। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্ত বুদ্ধির চর্চার কেন্দ্র। এখানে কেউ চাইলে ভালো দিক গ্রহণ করতে পারে আবার কেউ চাইলে খারাপ দিক ও গ্রহণ করতে পারে। শিক্ষিত মানুষ আর প্রকৃত মানুষ মাঝে অনেক পার্থক্য, শিক্ষিত হলেই মানুষ হওয়া যায় না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা আছে, এসব সমস্যা মোকাবিলা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এখন অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ক্যাম্পাসের সংকট থাকা সত্বেও ২০২২ সালে সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাংকিং আন্তর্জাতিক মানদন্ডে রসায়ন বিষয়ে গবেষণা সূচকে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কেমিস্টি বিভাগ। আমরা চাই জবির আইন বিভাগেও এই রকম সাফল্য আসবে। ১৫ তম বিজিএসে আইন বিভাগ থেকে ৭ জন জর্জ হয়েছে আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে আইন বিভাগ থেকে আরো অনেক জর্জ পাবো। একসময় দেশের আইন অঙ্গনে জবির ছাত্র-ছাত্রীরা নেতৃত্ব দিবে এবং আইন বিভাগ দেশ সেরা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন মাত্র ৭ একর এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০ একর জায়গা দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করে দিয়েছি, সবার আগে যেন হল গুলো করা যায় আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, আকাশে তে যেমন লক্ষ্য তারা তেমনি প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট কিন্তু সেটা হচ্ছে আইন বিভাগ। কালচার এবং আচরনের সংমিশ্রণই গঠিত আইন। রাষ্ট্রের মূল দলিল সংবিধান আর সেই সংবিধান শুরু হয়েছে আমরা বাংলাদেশের মানুষ এই তিনটি শব্দ দিয়ে। এই সংবিধান তৈরির ২৫ জনই হল আইনের ছাত্র। জজ তৈরি করার কারখানা হচ্ছে আইন। আইনের ছাত্র ছাড়া কেউ জজ হতে পারে না,একমাত্র আইনের ছাত্ররাই সেটা পারে।আইনে পড়ে বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষের সাথে মেশা যায়, তাদের সানিধ্য পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু, হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর মত বিখ্যাত বিখ্যাত রাজনীতিবিদরাই ছিলেন আইনের ছাত্র।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এমএস

×