ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ক্যাম্পাসে প্রাইম ইউনিভার্সিটি

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

নতুন ক্যাম্পাসে প্রাইম ইউনিভার্সিটি

স্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করছে প্রাইম ইউনিভার্সিটি। মিরপুরের মাজার রোডের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফেব্রুয়ারি থেকেই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হবে। আধুনিক শিক্ষার সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে স্থাপত্যশৈলীর স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করেছে প্রাইম ইউনিভার্সিটি। ঢাকার সবদিক থেকেই প্রবেশের উপযোগী এই মাজার রোডে পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা রেখে তৈরি করা এ বিশ্ববিদ্যালয় ভবনটি পুরোটাই ওয়াইফাই জোন হিসেবে ব্যবহার হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগের জন্য পৃথক ইন্টারনেট সমৃদ্ধ সুপরিসর শ্রেণীকক্ষ তৈরি করা রয়েছে। ক্লাসরুমগুলোয় রয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তির মাল্টিমিডিয়া। প্রতিটি বিভাগের জন্য পৃথক ফ্লোর, সুপরিসর স্পেস। ভবনটিতে রয়েছে দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট ব্রাউজিং ল্যাব, যেখানে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর জন্য পৃথক পৃথক কম্পিউটার রয়েছে। এছাড়া প্রকৌশল অনুষদের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ১২টি ল্যাব এবং শিক্ষার্থীদের ভাষা শেখার জন্য রয়েছে একটি আধুনিক ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব। অনলাইনভিত্তিক সুবিশাল লাইব্রেরি, যাতে রয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি বই। ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথক কমনরুম। রয়েছে জিমনেসিয়াম। সেমিনার কক্ষ, অডিটরিয়ামতো আছেই। সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পর্যাপ্ত লিফটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ভবনটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মীর শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘ভাল মানের ক্যাম্পাস শিক্ষার মান ও পরিবেশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা চিন্তা করেই ভবনটির নকশা তৈরি করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে তিনি জানান। জানা যায়, ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, ক্যারিয়ার গঠনমূলক ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, তথ্যপ্রযুক্তি বিস্তারে আইটি মেলা, স্টাডি ট্যুর, গণিত অলিম্পিয়াড, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবলসহ বিভিন্ন গেমসে সম্পৃক্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান বলেছেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন তথা গুণগতমান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা সহায়ক আধুনিক সরঞ্জামের জোগান দিতে এবং দক্ষ শিক্ষকদের পেছনেই আমরা ব্যয় করছি পুরো অর্থ। টিউশন ফি থেকে যা আদায় হয় সবই শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যয় হয়।’ ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি মওকুফের স্থলে প্রতি সেমিস্টারে ১১ শতাংশের অধিক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করা হচ্ছে। বিনামূল্যে পড়ছে আরও প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আমরা কম টিউশন ফি নিয়ে থাকি। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের কথা চিন্তা করেই এ রকম টিউশন ফি ধার্য করা হয়েছে। আধুনিক বিশ্বের শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ও উদ্যোমী ব্যক্তির প্রচেষ্টায় ২০০২ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রাইম ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে সাতটি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার হাজার। নাঈম খান
×