ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

ভারত থেকে পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার দাবি

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারীরা টাকা ফেরত চান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ১৫ জুন ২০২৫

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারীরা টাকা ফেরত চান

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারী ফোরাম

ব্যক্তি আমানতকারীদের টাকা ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দেওয়াসহ ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারী ফোরাম। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ব্যক্তি আমানতকারীদের টাকা ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারীরা টাকা ফেরত চান। তাদের ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া লুট হওয়া অর্থ দ্রুত উদ্ধারে পি কে হালদারকে দেশে আনার দাবি জানিয়েছে আমানতকারী ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সমন্বয়ক তাসদিক আহমেদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, পি কে হালদার যখন ২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন, তখন এটি একটি ভালো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছিল। বক্তব্যে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও মহাব্যবস্থাপক শাহ আলম সরাসরি জনসাধারণের আমানত লুটপাটে এই গোষ্ঠীকে সহায়তা করেছেন। এর ফলে আমানতকারীরা বিগত সাত বছর ধরে তাদের আমানত ফেরত পাচ্ছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আট মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরের সঙ্গে আমরা দেখা করার চেষ্টা করছি। একাধিকবার চিঠি, ই-মেইলসহ নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করছেন না। আমরা ব্যক্তি আমানতকারীরা গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবি ও বক্তব্য পেশ করতে চাই। 
ভারতে আটক থাকা পি কে হালদার লুট করা অর্থ কোথায় গেছে এর বিস্তারিত জানেন। তাই লুট ও পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ দ্রুত উদ্ধারের জন্য তাকে অবিলম্বে আইনি হেফাজতে বাংলাদেশে ফেরত আনার জোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সমন্বয়ক তাসদিক আহমেদ বলেন, আমানতকারীদের আজীবনের সঞ্চয় সাত বছর ধরে আটকে আছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে প্রায় ১ হাজার ৪৭০ জন ব্যক্তি আমানতকারীর সঞ্চয় ছিল মন্তব্য করে তাসদিক আহমেদ বলেন, কারও কারও এক কোটি টাকার ওপরে আমানত ছিল। সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, লুট হওয়া অর্থ উদ্ধার এবং ব্যক্তি আমানতকারীদের আমানত ফেরত এই দুটিকে পৃথকভাবে ধরে সরকারের পরিকল্পনা করা উচিত। সরকারের মূলধারার ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের সংস্কার গুরুত্বের সঙ্গে করার দাবি জানান আমানতকারীরা।

×