ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের ছুটির আমেজ

নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ ও শাকসবজির সরবরাহ কম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ১২ জুন ২০২৫

নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ ও শাকসবজির সরবরাহ কম

নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ ও শাকসবজির সরবরাহ কম

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে ঈদের ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। এখনো শাক-সবজির সরবরাহ বাড়েনি। এতে করে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ঈদের পর শসার দামে স্বস্তি মিলেছে। দেশি শসা কেজিতে ৬০ টাকা কমে ৬০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের পরও মুরগির দামে স্বস্তি নেই। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। এদিকে ঈদের ছুটি থাকায় বেশিরভাগ দোকানপাট খুলেনি।

যারা দোকান খুলেছেন তারাও খোশগল্প করে সময় পার করছেন। বাজারে ক্রেতা যেমন কম, তেমনি শাকসবজি ও মাছ-মাংসের সরবরাহও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম। ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদের পর ক্রেতা কম, তাই সরবরাহও কম। দামও এখন কমতি। পটোল, বেগুন, করলা, ঢেঁড়স, বরবটিসহ বেশিরভাগ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, এই সময়ে নি¤œ ও নি¤œমধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা কিছুটা বেশি থাকে। কোরবানির ঈদের তিনদিন হয়ে গেছে। এখন বাজারে ধীরে ধীরে শাকসবজির চাহিদা ও সরবরাহ দুটোই বাড়বে। রাজধানীর আরও তিন-চারটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ রয়েছে। সব জায়গাতেই ক্রেতার সমাগম খুবই নগণ্য। শুধু সবজি আর মাছ-মুরগির কিছু দোকান খোলা।

ঈদের আগে আগে শসা, টমেটো, গাজর প্রভৃতি পণ্যের দাম বাড়লেও এখন তা কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগের রাত পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হয়েছে। এরপর বেচাবিক্রি কমেছে। প্রতিবছরই ঈদের সময় এ রকম হয়। সেজন্য অনেক বিক্রেতা এখন ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন। আগামীকাল বুধবার বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ঈদের ছুটির কারণে অনেক মানুষ এখনো ঢাকায় ফেরেননি। তাই বাজার এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। দোকানপাট আস্তে আস্তে খুলছে। তাতে বাজারে সবজির সরবরাহ খানিক বাড়ছে। যদিও বেশিরভাগ দোকানে আগের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। কাল বুধবার থেকে সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সব বাজারে সবজির মতো মাছ ও মুরগির দু’চারটি দোকান খোলা। মাংসের দোকান বলতে গেলে এখনো বন্ধ রয়েছে। কাওরান বাজারের কামারপট্টি এলাকার রাস্তার ওপর কয়েক পদের মাছ নিয়ে বসেছেন জাহিদ মোল্যা। তিনি বলেন, ঈদের এই সময়ে মাছের চাহিদা কম থাকে। তবে আমাদের এই বাজারে সাধারণত নি¤œ আয়ের মানুষের ভিড় থাকে। কারণ, তারা কোরবানি দেন না। সকাল থেকে যদি আমার দোকানে ১০০ জন মানুষ এসে থাকেন, তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নিম্নবিত্ত। 
যেখানে কিচেন মার্কেটে ৪০০ টাকা কেজিতে পাবদা মাছ বিক্রি করে, সেখানে আমরা পাবদা মাছ ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগি আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক মুরগি ৩০০ টাকা ও সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৭০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

×