ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষে। ইসরায়েল “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে একটি বড় ধরনের হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে আঘাত হানে। পাল্টা জবাবে ইরানও ১০০টির বেশি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডের প্রধান কমান্ডার জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে মারা গেছেন ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরিও। তারা দুজনই ইরানের প্রতিরক্ষা কাঠামোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে হামলা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তাদের এই অভিযান ইরানের নেতান্জ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এই হামলায় আমেরিকার কোনো রকমের সম্পৃক্ততা নেই। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা ও সিএনএনের সূত্র জানায়, হামলার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রিসভা বৈঠক আহ্বান করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের শঙ্কা
এই হামলার ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে সংঘাতের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের জবাবি পদক্ষেপ এবং ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধ আরও বিস্তৃত আকার নিতে পারে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
আলীম
