ছবি: জনকণ্ঠ
ইনাফি বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে “জাতীয় বাজেট ২০২৫–২৬: মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের পরামর্শ সভা” শীর্ষক একটি জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার, (১৯ মে) মহাখালীস্থ ব্র্যাক সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের নেতৃবৃন্দ আসন্ন জাতীয় বাজেট নিয়ে তাদের প্রত্যাশা তুলে ধরেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)-এর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান (ইভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক-এর নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, আশার প্রেসিডেন্ট মো. আরিফুল হক চৌধুরী এবং শক্তি ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. হুমায়রা ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনাফি বাংলাদেশ ও সোনালী ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়ারম্যান এবং সাবেক অর্থ সচিব ও বাংলাদেশের ১২তম কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনাফি বাংলাদেশ-এর ভাইস চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরী। প্রবন্ধে বলা হয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের ভূমিকা অপরিসীম। এই খাতের কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল জরুরি। পাশাপাশি করনীতির সরলীকরণ করা হলে আরও বেশি মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সভায় ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ক্ষুদ্র ঋণ (রিভলভিং) তহবিল গঠনের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া, ২০২৪ সালের অর্থবিলে প্রস্তাবিত জটিল কর বিধান সরলীকরণের দাবি জানানো হয়। দাতাদের সহায়তা কমে আসায়, অনুদাননির্ভর সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সরকারি অনুদান বরাদ্দের আহ্বান জানানো হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিয়মিত প্রাক-বাজেট পরামর্শ সভাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা, যাতে নীতিনির্ধারণে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়।
ব্র্যাক-এর নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, “অর্থনৈতিকভাবে আমরা স্থিতিশীলতার দিকে এগোলেও সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভুললে চলবে না। কোভিডের সময়ের মতো এখনো মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু অভিযোজন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ করতে হবে।” তিনি অনানুষ্ঠানিক খাতগুলোর সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, “মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরলে নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে। বড় মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ব্যাংকের মতো সঞ্চয় সংগ্রহ করে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়ন করতে পারে, তাহলে এই খাতের অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই দূর হবে।”
কাওসার/শহীদ
