
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে মূল্যবান ধাতুটির দাম নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া এবং মার্কিন ডলারের মান স্থিতিশীল হয়ে ওঠার কারণে স্বর্ণের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমেছে। এতে চাহিদা কমে গিয়ে কমেছে দাম।
বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ডলারের মান সূচক (ডিএক্সওয়াই) ০.৩ শতাংশ বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারে। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত স্বর্ণের প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখন ঝুঁকি গ্রহণের দিকে ঝুঁকছেন।
স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৩,২২২.৬৬ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩,৯৩,১৫৬ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। এর ভিত্তিতে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বর্তমানে প্রায় ১,৬১,৮০০ টাকা।
অন্যদিকে, ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম কমে আজ বৃহস্পতিবার প্রতি আউন্সে লেনদেন হচ্ছে ৩,২৩০.৮০ ডলারে।
বিষয়টি নিয়ে মতামত দিয়েছেন ইউবিএস বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাওনোভো। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা বাড়ছে। এতে করে শুল্ক কমে যেতে পারে এবং বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকির দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। স্বর্ণের চাহিদা কমে যাওয়ার পেছনে এটিই মূল কারণ।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির পথে রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও একটি শক্তিশালী চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকি ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১০ দিন আগেই, ২২ এপ্রিল, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩,৫০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে বর্তমান পতন সেই রেকর্ড দামের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কম।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমলেও ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনো অর্থনৈতিক সংকট বা রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়, তাহলে স্বর্ণের দাম আবারও উর্ধ্বমুখী হতে পারে।
এসএফ