ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

তিন হাজার ৪১ কোটি টাকার ১১ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

খাদ্য নিরাপত্তায় গম তেল ও ডাল কেনা হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০১, ১ মার্চ ২০২৪

খাদ্য নিরাপত্তায় গম তেল ও ডাল কেনা হবে

খাদ্য নিরাপত্তায় গম তেল ও ডাল কেনা হবে

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এবার তিন হাজার ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকার ভোজ্যতেল, ডাল ও গম কেনা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নেত্রকোনায় বেসরকারি উদ্যোগে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চার হাজার ২৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য কেনা হবে ১৫০ কোটি টাকার ওষুধ। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ৪৩৯ কোটি টাকায় ইউরিয়া, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনা হবে। এ ছাড়া সুন্দরগঞ্জের তিস্তায় সেতু নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে ৭২ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিন হাজার ৪১ কোটি টাকার ১১ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় এলএনজি টার্মিনাল সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান এমএস অ্যাগ্রো কট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার  টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ গম কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। প্রতি টন গমের মূল্য পড়বে ৩০৩ দশমিক ১৬ ডলার।  
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আট হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এ মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৯০ পয়সা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোন দেওয়া হয়েছে। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড  থেকে এই তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর  প্রতি লিটারের জন্য খরচ হবে ১৫৮ টাকা ৭৯ পয়সা।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নেত্রকোনায় বেসরকারি উদ্যোগে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি  সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ২০ বছরে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনতে ব্যয় হবে এক হাজার ৬৪১ কোটি টাকা।

এ ছাড়া সভায় মহেশখালী তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিবর্তে সামিট এলএনজি টার্মিনাল ২ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধনী-২০২১)-এর আওতায় সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড (এসওএসসিএল) থেকে দীর্ঘ মেয়াদি ভিত্তিতে এলএনজি আমদানি করা হবে। 
সভায় দেশের ১৪ হাজার ২৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড থেকে সরাসরি ১৫০ কোটি টাকার ওষুধ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এর মধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার এবং ৬২  কোটি ৯২ লাখ টাকায় ফসফরিক এসিড রয়েছে। এ ছাড়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ওপর ১৪৯০ মিটার লম্বা সেতু নির্মাণের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৭২ কোটি টাকা।

×