দেশের অর্থনীতিতে বড় অংশজুড়ে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত। জিএসএম এর নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালে জিডিপিতে এ খাতের অবদান ছিল ৬ দশমিক ২ ভাগ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ হাজার ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালে যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার। আশা করা যায় ২০২০ সালে এ খাতের অবদান দাঁড়াবে আনুমানিক ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে জিডিপিতে মোট রাজস্বের প্রায় ১০ ভাগ এসেছে এই খাত থেকে। যার আকার ছিল ২৪২ কোটি মার্কিন ডলার। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের অবদান অপরিসীম। ২০১৫ সালে মোট ৭ লাখ ৬৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এই খাত। যেখানে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার এবং পরোক্ষভাবে ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ হয় ৭ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২০ সালে এই খাতে কাজ করবে ৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। জিএসএম এ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের আওতায় রয়েছে ৫৩ শতাংশ, মোবাইল ইন্টারনেটের আওতায় ৩৩ শতাংশ এবং থ্রিজি সংযোগের আওতায় এসেছে ২০ শতাংশ মানুষ। বাংলাদেশে এখনও ফোরজি সংযোগ চালু হয়নি। জিএসএম এর প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের জনগণের গড় আয় কম হলেও মুঠোফোন বাজার উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশগুলোর প্রায় সমপর্যায়ে।
বাংলাদেশে নতুন মোবাইল সংযোগের গ্রাহক বৃদ্ধির হার ৫৩ শতাংশ, যেখানে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর গড় হার ৫০ শতাংশ। এ বিষয়ে জে আর কমিউনিকেশন এর স্বত্বাধিকারী ও মোবাইল সেট আমদানিকারক মোহায়মান চৌধুরী গনমাধ্যমকে বলেছেন, এত বড় সেক্টর হয়ে উঠলেও অদ্যাবধি এ সংক্রান্ত কোন নীতিমালা নেই। এই খাতে বাংলাদেশের আরও উন্নয়নের সুযোগ আছে তবে তার জন্য অনুকূল নীতিমালা প্রয়োজন।
অর্থনীতি ডেস্ক
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: