ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২ আগস্ট ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। তালিকাভ্ক্তু কোম্পানিগুলোর গত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ প্রায় শেষের দিকে। যার কারণে বিচার-বিশ্লেষণ শেষে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৩৮৩ কোটি ৩৬ লাখ ২১ হাজার টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৩৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৫১ হাজার টাকার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৬৬ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, শার্শা ডেনিমস, আরএকে সিরামিক ও এসিআই। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জাহিন স্পিনিং, বিডি ল্যাম্পস, ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, জেমিনি সী ফুড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ন্যাশনাল হাউজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড, এপেক্স ফুডস, হাক্কানী পাল্প, বিডি ফাইন্যান্স ও জিপিএইচ ইস্পাত। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফার ইস্ট ইসলামী লাইফ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, লিন্ডে বাংলাদেশ, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, এপেক্স ফুটওয়ার লিমিটেড, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা সিমেন্ট, বিজিআইসি ও আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। এদিকে গত সপ্তাহে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দর ও সূচক কমার কারণে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অবস্থান করছে ১৬ দশমিক ৭১ পয়েন্টে; যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ২৩ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, বাজার ধারাবাহিকভাবে উর্ধমুখী থাকার কারণে পিই রেশিও বেড়েছে। তবে পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে থাকে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ বলে মনে করেন তারা। সপ্তাহ শেষে খাত ভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৯ দশমিক ৩ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ৪২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২৯ দশমিক ৪ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩১ দশমিক ৯ পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতের ১৪ পয়েন্ট, সাধারণ বীমা খাতের ১০ দশমিক ৮ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ১৭ দশমিক ৮ পয়েন্টে, পাট খাতের মাইনাস ২০ দশমিক ৪ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ৩৩ দশমিক ২০ পয়েন্ট, এনবিএফআই খাতের ১৬ দশমিক ৯ পয়েন্টে, কাগজ খাতের ১৩ দশমিক ৮ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২২ দশমিক ৮ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১ দশমিক ১ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ২৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতের ২৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
×