
ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ফেসবুকে পোস্ট করছেন, কিন্তু সবার কনটেন্ট কি ভাইরাল হয়? না! ভাইরাল পোস্ট তৈরির পেছনে থাকে কিছু বিশেষ কৌশল, যেগুলো অনেকেই জানেন না। আপনি যদি চান আপনার ফেসবুক পোস্টে লাইক, শেয়ার আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যাক—তাহলে জেনে নিন সেই ৭টি গোপন টেকনিক, যা ব্যবহার করে অনেকেই রাতারাতি ভাইরাল হয়েছেন!
১. চোখধাঁধানো শুরু, থামতে না পারার হেডলাইন
ভাইরাল কনটেন্টের প্রথম শর্ত হলো হেডলাইন। হেডলাইনে থাকতে হবে জিজ্ঞাসা, চমক কিংবা সমস্যার ইঙ্গিত। যেমন: “আপনার অজান্তেই ফেসবুক আপনার তথ্য বিক্রি করছে?”—এই ধরনের হেডলাইন ইউজারকে স্ক্রল থামাতে বাধ্য করে।
২. সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রভাবশালী কনটেন্ট
ফেসবুকে কেউ দীর্ঘ লেখায় আগ্রহী নয়। ছোট ছোট অনুচ্ছেদ, পয়েন্ট আকারে লেখা, ইমোজি ব্যবহার—এসব কৌশলে পাঠকের দৃষ্টি আটকে রাখা যায়।
৩. ছবি বা ভিডিওর মোহ
ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা লেখার চেয়ে অনেক বেশি। একটি সঠিক এক্সপ্রেশন, মজার ভিডিও বা চোখে পড়া গ্রাফিক্স মুহূর্তেই নজর কাড়ে।
৪. ব্যক্তিগত গল্প বা বাস্তব অভিজ্ঞতা
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা বা গল্প শেয়ার করলে মানুষ কানেক্ট করে। এতে ‘রিয়েল ফিল’ আসে, আর তা পোস্টকে ভাইরাল করতে সাহায্য করে।
৫. সময় নির্বাচন কৌশলী হওয়া চাই
আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কখন বেশি সক্রিয় তা বোঝা জরুরি। সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সময় পোস্ট দেওয়ার জন্য সেরা।
৬. কমেন্টে মানুষকে যুক্ত করুন
পোস্টের শেষে প্রশ্ন করুন বা মতামত জানতে চান। “আপনার কী মনে হয়?”—এই একটি লাইন অনেক বেশি এনগেজমেন্ট এনে দিতে পারে।
৭. শেয়ার করতে বলুন, কিন্তু কৌশলে
“শেয়ার করুন” বলাটা ক্লিশে হয়ে গেছে। বরং বলুন, “আপনার বন্ধুদের জানানো দরকার!”—এই ধরনের বাক্য শেয়ার বাড়িয়ে দিতে পারে।
ভাইরাল হওয়া কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়—এটি একটি কৌশলগত প্রক্রিয়া। এই সাতটি গোপন টিপস কাজে লাগিয়ে আপনিও তৈরি করতে পারেন ভাইরাল পোস্টের জাদু। আজ থেকেই শুরু করুন—কে জানে, আপনার পরের পোস্টটাই হয়তো হয়ে যাবে হাজার হাজার শেয়ারের মালিক!
নুসরাত