
সাত বছরের শিশু কন্যা মেঘনা। বাস থেকে নেমে যখন নিজেকে আবিষ্কার করল অচেনা এক জায়গায়, চারপাশে সবুজ রঙের পোশাকে দাঁড়ানো এক দল মানুষ—তখন সে আর কিছুই বলতে পারল না।
ভয়ে, আড়ষ্টতায় নীরব হয়ে যায় মেঘনা।
কোনো উপায় না পেয়ে থানা পুলিশ খুঁজতে থাকে বিকল্প রাস্তা। এমন সময় মিলে যায় মেঘনাকে বাড়ি ফেরানোর এক আশাজাগানিয়া পথ।
বইয়ের পাতায় লেখা বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে হারিয়ে যাওয়া সাত (০৭) বছরের শিশু কন্যা মেঘনাকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিল শাজাহানপুর থানা পুলিশ।
এমনই এক মহৎ ঘটনার জন্ম দিয়ে প্রশংসায় ভাসছে শাজাহানপুর থানা পুলিশ।
থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, “আজ ২১শে জুন ঢাকা থেকে রংপুরগামী এস কে স্পেশাল পরিবহনে চড়ে সাত বছরের শিশু কন্যা মেঘনাকে নিয়ে তার পিতা মোহাম্মদ মিরু (৩৫), নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর যাচ্ছিলেন। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের কিছু আগে বাসটি থামার পর, মিরু মিয়া তার কন্যাকে বাসে বসে রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। ইতোমধ্যে বাসটি তার পিতাকে ফেলে রেখে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।
বাসের সুপারভাইজার শিশু মেঘনাকে শাজাহানপুর থানার ডিউটি অফিসারের নিকট জমা দিয়ে যান। মেঘনার কাছে থাকা ব্যাগের ভেতরে রাখা তার পড়ার বই খুঁজে, বইয়ের পাতায় তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকের একটি মোবাইল নম্বর পান শাজাহানপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই তহুরা বেগম।
উক্ত নম্বরের সূত্র ধরে শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, উক্ত শিক্ষক তার পরিবারকে খবর দেন। এদিকে মেঘনার পিতা বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে একেবারেই হয়রান হয়ে যান।
পরিবারের মাধ্যমে অবগত হয়ে মেঘনার পিতা শাজাহানপুর থানায় এলে যাচাই-বাছাই শেষে শিশু মেঘনাকে তার পিতার নিকট হস্তান্তর করা হয়।”
সানজানা