
ঢাকার দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় টিভির ঢাকা দক্ষিণ প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান সানীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট আপলোড করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আয়েশা আক্তার, দোহার বার্তা, ওবাইদুল ইসলাম আকাশসহ আরও বেশ কয়েকটি ফেক ফেসবুক পেজে এ কুরুচিপূর্ণ পোস্ট আপলোড দেওয়া হয়। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল। এ ঘটনায় মো. আতাউর রহমান সানী দোহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও লিখিত অভিযোগ করেছেন।একই সঙ্গে এ কুরুচিপূর্ণ পোস্টের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোহার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদলিপি উপজেলা প্রশাসন বরাবর দেওয়া হয়েছে।
মো. আতাউর রহমান সানী দোহার প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে জানা যায়। পাশাপাশি স্থানীয় সাপ্তাহিক নববাংলা ও জাগ্রত জনতা পত্রিকা সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে আতাউর রহমান সানী বলেন, গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে ছবিটি ব্যবহার করে পোস্ট আপলোড করা হয়েছে তা আমার নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি ভারতের একটি পর্ণ সাইটের ভিডিও। যা ইতোমধ্যে আমি সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন, ভিডিওটি যেসকল আইডিতে আপলোড করা হয়েছে তা ফেক অ্যাকাউন্ট (আইডি)। ভিডিওটিতে দেখা যায় ছেলেটির হাতে ব্যাচ পড়া যা আমি কখনও পরিধান করিনি। এক পাশ থেকে আমার মত দেখা গেলেও সেই ছেলেটি আমি নই।
তিনি আরো বলেন, আমি সততার সাথে টানা দুইবার দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই পদে নির্বাচন ঘিরে প্রেসক্লাবের অনেকে ষড়যন্ত্র করেছে। নির্বাচন নিয়ে আমার সাথে অনেকের সাথে মনমালিন্যও হয়েছে। ইতোমধ্যে আমি পুলিশের সহায়তা নিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই ষড়যন্ত্রকারীরা আইনের জালে ধরা পড়বে।
দোহার প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি দৈনিক সমকাল দোহার প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান টিপু বলেন, মাদক যেমন একটি মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। তেমনি সমাজে সামাজিক অবক্ষয়ের নিম্নস্তরটি হলো কাউকে ছোট করা। আতাউর রহমান সানীকে জড়িয়ে ফেক আইডিতে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট আপলোড করা হয়েছে। আমরা এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে সকলকে বিরত ও সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
দোহার প্রেসক্লাবের সদস্য ও পদ্মা সরকারি কলেজের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান সুমন বলেন, ফেক আইডি থেকে বিভিন্ন সময় সমাজের অনেক ভালো মানুষদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করছে। একজন সাংবাদিক হয়েও মো. আতাউর রহমান সানী এ থেকে রেহাই পেলেন না। তিনি বলেন, আতাউর রহমান সানী দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রেসক্লাবের অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাই কিছু কতিপয় লোক আতাউরকে নিয়ে মিথ্যা, ভূয়া ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছে। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ তারেক রাজীব বলেন, দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের নামে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট প্রকাশের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি সামাজিক শিষ্টাচার ও আইনবিরুদ্ধ কাজ। এ ধরনের কর্মকা- ব্যক্তিগত মর্যাদাহানির পাশাপাশি সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে। যে বা যাহার এসব কাজ করছে তাদের জোড় শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কলাম লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিল সবুজ বলেন, এসব ফেক আইডির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ফেসবুকে ভালো মানুষের সম্মানহানি করা হচ্ছে। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। প্রশাসনের দায়িত্ব বিষয়টি খতিয়ে দেখা। পাশাপাশি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জোড় দাবি জানাচ্ছি।
দোহার থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুন্নবী ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে যারা এ ধরনের ঘৃণিত কাজ করেছে তারা দ্রুতই আইনের হাতে ধরা পড়বে।
রাজু