
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমানে সোনার বাজারদর অনেক চড়া। আপনি যদি পুরনো গহনা বা সোনার কয়েন বিক্রি করার কথা ভাবেন, তাহলে আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা ভালো।
বাংলাদেশেও এখন নানা জায়গায় "সোনা কিনি" বা "গহনা বিক্রি করুন" লেখা সাইন দেখা যায়। কিন্তু হুট করেই গিয়ে বিক্রি করা বুদ্ধিমানের কাজ না। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করলে ভালো দাম পাওয়া সহজ হবে।
১. আপনার সোনার জিনিসপত্র চিনে নিন
প্রথম ধাপে আপনার কাছে থাকা সোনার গহনা, কয়েন বা সোনার বার গুছিয়ে রাখুন।
বাংলাদেশে সাধারণত ২১ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেট সোনার গহনা বেশি পাওয়া যায়। আপনি যদি বিদেশ থেকে ২২ বা ২৪ ক্যারেটের কিছু এনেও থাকেন, তাহলে সেটার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হবে।
পুরনো গহনা হলেও, সেটি যদি নকশায় বা বয়সে বিশেষ হয়, তাহলে এর অতিরিক্ত মূল্য থাকতে পারে।
২. বিশ্বস্ত সোনার ক্রেতা খুঁজুন
ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেটের মতো বড় শহরগুলোতে অনেক সোনার দোকান আছে যারা গহনা কিনে।
- লোকাল জুয়েলারি শপ: আপনার নিকটবর্তী জুয়েলার্স দোকানে গিয়ে গহনার ওজন ও ক্যারেট যাচাই করে একটা মূল্যায়ন করিয়ে নিন। অনেক দোকান পুরনো গহনা কিনে গলিয়ে আবার নতুন গহনা তৈরি করে।
- পাওন শপ বা বন্ধকি দোকান: বাংলাদেশে কিছু নির্দিষ্ট দোকান বন্ধকি ব্যবস্থায় সোনা গ্রহণ করে। তবে সেখানে আপনি পুরো দাম না পেতে পারেন, তাই একটু হিসাব করে সিদ্ধান্ত নিন।
- অনলাইনে বিক্রি: এখন কিছু ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ রয়েছে, যারা বাসায় গিয়ে সোনা কিনে থাকে। যেমন—Jewel Arena, BD Gold Buyer, SonaBikroy.com ইত্যাদি। তবে এদেরকে যাচাই করে তবেই ডিল করুন।
৩. দাম সম্পর্কে জানুন, আপডেট থাকুন
সোনার বাজারদর (স্পট প্রাইস) প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়।
২৪ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম যা থাকে, ১৮ বা ২১ ক্যারেটের গহনার দাম তার চেয়ে কম হবে। কারণ খাঁটি সোনার পরিমাণ কম থাকে।
বেশিরভাগ দোকান সোনার "স্ক্র্যাপ ভ্যালু" অনুযায়ী দাম দেয়, অর্থাৎ গলানোর পর যা থাকবে সেটা হিসাব করে।
ভালো দাম পেতে হলে জুয়েলারি দোকানে গিয়ে ওজন ও ক্যারেট যাচাই করিয়ে নিন এবং অন্তত দুই-তিনটি জায়গা থেকে মূল্যায়ন নিন।
৪. বিক্রির আগে প্রস্তুতি নিন
- দোকানের লাইসেন্স দেখুন: বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সদস্য কিনা যাচাই করুন।
- বাজারদর জেনে নিন: সোনার প্রতিভরির বর্তমান দাম গুগলে বা খবরের কাগজে দেখে নিন।
- একাধিক অফার নিন: যদি তাড়াহুড়ো না থাকে, তাহলে বিভিন্ন দোকান ঘুরে সেরা দামটা নিন।
- নগদ ও রসিদ নিন: লেনদেনের রসিদ রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভবিষ্যতে প্রমাণ থাকে।
সোনা বিক্রি করা মানেই শুধু নগদ পাওয়া নয়, বরং সচেতনভাবে ভালো দামে বিক্রি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বস্ত দোকানে যাচাই করে বিক্রি করুন, দরকার হলে কিছুদিন অপেক্ষা করে ভালো সময়ের জন্যও রাখতে পারেন।
মারিয়া