
বউ বাজারে নারীদের ভিড়
বউ বাজারে নারীদের ভিড়
বউ বাজার নাম শুনলেই মনে হয় এখানে বউ বেচা-বিক্রির হাট আসলে তাই নয়। এই বাাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালসহ সকল প্রকার বাজার বিক্রি হয়।
এ বাজারের বেশির ভাগ বিক্রেতা নারী হওয়ার কারণে প্রায় ২৫ বছর আগে বউ বাজার হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশিরভাগই নারী। যে কারণে চার একর জায়গা নিয়ে গঠিত বাজারটির নামকরণ করা হয় ‘বৌ বাজার।'
মুকসুদপুরের বানিয়ারচরের টেকেরহাট- গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশে এই ‘বৌ বাজার।'
স্থানীয়রা জানায়, ৮০'র দশকের শেষ দিকে গাভীর দুধ বিক্রি করতে স্থানীয় নারীরা বেছে নেয় স্থানটি। তবে, দিনদিন ক্রেতা বৃদ্ধির সঙ্গে গড়ে ওঠে চা থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান নিয়ে চলছে উপজেলার বানিয়ারচরের এই ‘বৌ বাজার’।
সরজমিনে দেখাগেছে, এখানে অর্ধশতাধিক দোকান রয়েছে। অধিকাংশ দোকানের বিক্রেতাই নারী। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শতাধিক বিক্রেতা এ বাজারে দুধ, মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেন। আর সন্ধ্যায় নারীদের চা ও রুটির দোকানে বসে জমজমাট আড্ডা। এ আড্ডায় দেখা যায়, স্থানীয় কৃষান- কৃষানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মিলন মেলা।
মঞ্জু রানী বিশ্বাস তিনি বলেন, আমি ১০ বছর ধরে এখানে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছি। বেচাকেনায় আমাদের কোনও সমস্যা হয় না।
স্মৃতি বাইন নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, ঝামেলা ছাড়াই বেচাকেনা করতে পারি। কোন প্রকার ঝুট ঝামেলা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নারীরাই এ বাজার পরিচালনা করছেন।
এ অঞ্চলের মানুষ এটিকে ন্যায্যমূল্যের বাজার বলছেন। তারা বলছেন, অনান্য বাজারের তুলনায় এ বাজারটি দিনদিন আশপাশের মানুষের কাছেও একটি আধুনিক বাজার হয়ে উঠছে।
শরিফুল/জাফরান