
.
‘আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়
লুকোচুরির খেলা।
নীল আকাশে কে ভাসালে
সাদা মেঘের ভেলা।’
সত্যিই তাই, ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ারা লুকোচুরি খেলছে। মেঘের কোলে রোদ হাসছে। বর্ষা চলে গেছে সেই কবে। এদিকে শরৎ গিয়ে হেমন্ত এসেও হাঁটতে শুরু করেছে। হালকা কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে শিশিরভেজা হিমহিম বাতাসও বইতে শুরু করেছে। আবার ঢাকার রাস্তার আনাচে-কানাচে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে হলুদ কদম ফুল। শরতের নীল আকাশে এখনো পেঁজা তুলোর মতো মেঘ উড়ছে। সারা দিনের কাঠফাটা রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ সবাই। এরই মাঝে ছাইরঙা মেঘ এসে হুটহাট ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও ঝরাচ্ছে। কাশফুল, শিউলি, পদ্ম, শাপলা ফুল এখনো রাজত্ব করে যাচ্ছে। বুটিক শপগুলোও তাদের নিয়ে আকাশে-বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে। প্রকৃতি যেন চঞ্চলা কিশোরী হয়ে ধরণীর সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে, আর খিলখিল করে হাসছে। মানুষ উপভোগ করছে তাদের এই ছন্দবদলের খেলা। শিউলি ফুল থাকবে পুরো শীত জুড়ে। মাঝে মাঝে দ্বিধায় পড়ে যাই, শিউলি আসলে শরতের ফুল নাকি শীতের! এখন যাদের বয়স ৩০-৪০, তাদের মধ্যে খুব কমই পাওয়া যাবে যারা শৈশবে শিউলি তলায় গিয়ে শিউলি কুড়ায়নি। তবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফুল কুড়ানো হয়ত এক বিস্ময় হয়েই থাকবে। এদিকে কৃষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন উৎসবের। খুব শীঘ্রই কৃষকের গোলা ভরবে পাকা সোনালী ধানে। ঘরে ঘরে শুরু হবে পিঠা উৎসব। এরই মাঝে প্রকৃতির এই খেলায় দ্বিধান্বিত সবাই।
বর্ষা, শরৎ, হেমন্তের কিছু মিতালী চিত্র-