ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

ফ্যাসিস্ট ছিল অন্ধকার আর বর্তমান সরকার হচ্ছে কুয়াশাচ্ছন্ন:রশিদুল হক সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সৈয়দপুর।। 

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১১ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৫৯, ১১ মে ২০২৫

ফ্যাসিস্ট ছিল অন্ধকার আর বর্তমান সরকার হচ্ছে কুয়াশাচ্ছন্ন:রশিদুল হক সরকার

হাসিনা ছিল অন্ধকার সরকার আর বর্তমান সরকার হচ্ছে কুয়াশাচ্ছন্ন। তারা কী করবে আর কী করতে চায়, পরিষ্কার করছে না। তারা নির্বাচন না দিয়ে টালবাহানায় সময় কাটাচ্ছে। শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১টায় সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলে জেলা বিএনপির পৌর সভাপতি মোঃ রশিদুল হক সরকার এসব কথা বলেন।

মোঃ মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সোহাদ সরকারের সঞ্চালনায় রশিদুল হক সরকার আরও বলেন, দেশে কারা অন্যায় ঘটনার সাথে জড়িত, এটা সরকারের দায়িত্বশীলরা জানেন। আপনারা তাদের ধরুন। আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় শাস্তি দিন। এটাই বিএনপির দাবি। এটাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষণা। আর এই নীতিতে চলছে এবং চলতে চায়।

কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবদুল গফুর সরকার বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা, সমৃদ্ধি অটুট রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই দ্রুত সময়ে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
কাউন্সিলে প্রধান বক্তা শাহিন আক্তার বলেন, আমাদের দিকনির্দেশক তারেক রহমান বারবার বলছেন, একটা অদৃশ্য শক্তি প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করছে। 

যে আওয়ামী লীগকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, বিতাড়িত করেছে, তার ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। তাদের ইস্যুকে কেন্দ্র করে টালবাহানা করছে। আর এটাই হচ্ছে অদৃশ্য শক্তি। যে দলটি কাঁধে চড়ে রাজনৈতিক মাঠে লুকিয়ে কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, আজ তারাই প্রতিপক্ষ ভূমিকায় পালন করছে। তারা কৃতজ্ঞতা ভুলে নিন্দায় ব্যস্ত।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, এ শহরের ১১ নং ওয়ার্ড হচ্ছে রাজনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসা ও খেলাধুলা অঙ্গনের সুতিকাগার। সৈয়দপুরের মাটি বিএনপির ঘাঁটি। এটি প্রমাণ হয় এই ওয়ার্ড থেকে। কারণ প্রতি নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে লড়াই হয়। তাই এই ওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, এই ওয়ার্ডে বসবাস করতেন আওয়ামী লীগের টর্চার সেলের মাস্টারমাইন্ড নেতারা। তারা দীর্ঘ ১৭ বছর এখান থেকে এ শহরবাসীকে নির্যাতনের রোলার চালাতেন। বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মহসিনুল হক মহসিন ও তার ছেলে সিয়ামের অত্যাচার ও চাঁদাবাজি ছিল বেশি। তারা ছিলেন এই ওয়ার্ডের মাধ্যমে শহরের ডন। তাদের দাপটে কেউ টু শব্দ করার সাহস পেত না। হাসিনার সাথে পতন ঘটেছে এই অত্যাচারীদের।

এ সময় পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ বাবলুসহ ১৫টি ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দসহ ১১ নং ওয়ার্ডের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলের শেষে ওই ওয়ার্ডের পূর্বের কমিটির কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে পুনরায় মোঃ মোখলেছুর রহমানকে সভাপতি ও মোঃ লেবুকে সাধারণ সম্পাদক বহাল রেখে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবদুল গফুর সরকার নাম ঘোষণা করেন।

আফরোজা

×