
ছবিঃ সংগৃহীত
গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনন্য একটি ফল হলো আইস অ্যাপল। বাংলায় একে তাড়োব বা তালশাঁস নামেও ডাকা হয়। স্বচ্ছ, জেলির মতো এই ফলটি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। উচ্চ পানি উপাদান, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ থাকার কারণে এটি শরীরের জন্য বহুমুখী উপকার বয়ে আনে।
জলীয় অংশে পরিপূর্ণ
আইস অ্যাপল প্রচুর পরিমাণে পানি ধারণ করে, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া জল ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
হজমে সহায়ক
এই ফলে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী
আইস অ্যাপলে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান ত্বককে হাইড্রেট ও পুষ্টি জোগায়। নিয়মিত সেবনে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে পারে, এমনকি ব্রণের প্রবণতাও কমে আসতে পারে।
ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ
এই ফলটি ভিটামিন এ, সি এবং বি কমপ্লেক্স ছাড়াও আয়রন, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজে সমৃদ্ধ। ফলে এটি সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
প্রাকৃতিক ঠান্ডা গুণ
আইস অ্যাপলের শীতলতাদায়ক গুণ শরীরকে গরমের তাপ থেকে রক্ষা করে। ঘাম, ক্লান্তি ও পানিশূন্যতা দূর করতে এটি চমৎকার একটি প্রাকৃতিক সমাধান।
রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আইস অ্যাপল নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। এমনকি এটি বমিভাব বা বমির সমস্যা কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে।
কম ক্যালোরি, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
এই ফলটি ক্যালোরিতে কম, তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান বা ডায়েট করছেন, তাদের জন্য এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হতে পারে।
সব মিলিয়ে, গরমের দিনে শরীর ও ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে আইস অ্যাপল হতে পারে দারুণ একটি সংযোজন। বাজারে সহজলভ্য এই ফলটিকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে নির্দ্বিধায়।
সূত্রঃ https://www.ndtv.com/webstories/feature/health-benefits-of-ice-apple-39812
ইমরান