
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় কর্মরত পুলিশকে ছুরিকাঘাতে ঘটনায় দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১১ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে একজনকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পাটাবুকা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে এবং অপরজনকে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় জয়পুরহাট শহরের পাঁচুর মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাটাবুকা গ্রামের বাসিন্দা রাফি ও বেলাল।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, “পাটাবুকা এলাকায় প্রায় তিন-চার বছর আগে এক দম্পতির তালাক হয়। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। তালাকপ্রাপ্ত নারীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। শনিবার ওই নারীকে তার সাবেক স্বামী ডেকে এনে বাড়িতে আটকে রাখেন।
সে সময় ওই নারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করে বিষয়টি জানান। পরে এসআই আলমগীর কবীর ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে তা তখন অমীমাংসিত থেকে যায়। পরেরদিন রোববার বিকেলে তিনি আবার সেখানে যান এবং সমস্যাটির সমাধান করে ফেরার পথে পেছন থেকে এক ব্যক্তি তাকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন।
আহত অবস্থায় এসআই আলমগীর কবীরকে উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর এসআই আলমগীর কবীর নিজেই বাদী হয়ে রাফি ও বেলালের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করার পর রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাদেরকে।”
জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. কাজী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এসআই আলমগীর কবীর কাঁচি দ্বারা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত।”
মিরাজ খান