
ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্মুখভাগে বড় ধরনের ধাক্কার মুখে পড়ার পর এবার দেশটির জন্য আরেকটি বড় বিপর্যয় দেখা দিল অর্থনৈতিক মঞ্চে। শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের ৮৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ উধাও হয়ে যায়।
এই আর্থিক ধাক্কা এসেছে সেই সময়, যখন পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এর আগে ভারত তার ভাষায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে’ হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র এই সামরিক সংঘর্ষ এখন রূপ নিয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও সীমান্তবর্তী গোলাগুলির লড়াইয়ে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, ভারতের নিফটি ৫০ সূচক ১.১ শতাংশ পতনে ২৪,০০০ পয়েন্টের উপরে কোনোমতে টিকে থাকে। অন্যদিকে বিএসই সেনসেক্স সূচক ৮০,০০০ পয়েন্টের গুরুত্বপূর্ণ সীমার নিচে নেমে যায়। এই পতনের মাধ্যমে টানা তিন সপ্তাহের উর্ধ্বমুখী ধারা থেমে যায়, যা ছিল বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সাফল্য।
দিবসের একপর্যায়ে শেয়ারবাজারের মোট ক্ষতির পরিমাণ ১০৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর আশঙ্কা তৈরি হয়, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম আতঙ্কের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বাজারে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সংঘাত আরও বাড়লে ভারতের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরও চাপে পড়তে পারে।
এই দিন, ১৩টি প্রধান খাতের মধ্যে ১২টিতেই দরপতন হয়েছে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে—যেখানে ক্ষতি হয়েছে যথাক্রমে ১.৯% ও ০.৮%। একমাত্র উজ্জ্বল দিক ছিল টাটা মোটরসের শেয়ার, যা ৮.৭% বেড়ে যায়। যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য একটি বাণিজ্য চুক্তিতে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার লাভবান হতে পারে—এই আশাবাদের জেরেই শেয়ারদর বাড়ে।
সূত্র: https://pakobserver.net/indian-stock-markets-bleed-83-billion-as-pakistan-strikes-back-after-airbase-attacks/
এএইচএ