ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

পুশ ইন করে সমুদ্রের চরে নামিয়ে দেওয়া ৭৮ জনের পরিচয় মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

প্রকাশিত: ১০:১৩, ১১ মে ২০২৫; আপডেট: ১০:১৪, ১১ মে ২০২৫

পুশ ইন করে সমুদ্রের চরে নামিয়ে দেওয়া ৭৮ জনের পরিচয় মেলেনি

শুক্রবার পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া ৭৮ বাংলাদেশির এখনও পর্যন্ত পরিচয় মেলেনি। তবে আশ্রিত এসব মানুষের অধিকাংশ বরিশাল, নড়াইল ও খুলনা এলাকার বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। খবর পেয়ে পশ্চিম বন বিভাগে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমানসহ কোস্টগার্ড মংলা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।

এদিকে তথ্য মিলেছে, মোট তিন দফায় এসব বাংলাদেশিকে বিএসএফ ও কোস্টগার্ড বাংলাদেশ সীমান্তের সাগরের চরে ফেলে যায়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়িতে গিয়ে পৌঁছে।
মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২ জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী বন সংরক্ষকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

এদিকে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সেসময় ভাটা চলছিল। এই সুযোগ নিয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা একাধিক ভেসেল ও স্পিডবোটযোগে পর্যায়ক্রমে ৭৮ জন মানুষকে সাগরের চরে নামিয়ে দিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মান্দারবাড়িয়ায় পৌঁছায়।
তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরের দিকে একবার মাত্র যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। সেসময় পর্যন্ত কারও নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ৭৮ জনের বেশিরভাগ খুলনা, নড়াইল এবং বরিশালের বলে তাদের সহকর্মীর মাধ্যমে জানা যায়।

বন বিভাগের এ কর্মকর্তা আরও জানান, এসিএফ মশিউর রহমান সকালে মান্দারবাড়িয়া পৌঁছেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার মাধ্যমে কোনো খবর তারা পাননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুনের মাধ্যমে কিছু শুকনা খাবার হিসেবে চিড়া, চিনি, বিস্কুট ছাড়াও পানি, চাল, ডাল, তেলসহ নানান উপকরণাদি পাঠানো হয়েছে। সেখানে অবস্থানরতদের নাম-পরিচয় শনাক্তসহ সেখানে ফেলে যাওয়ার কারণ জানতে পারলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

আফরোজা

×