ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মানস ঘোষ

বেলুচিস্তানের মুক্তিসংগ্রাম

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৬ নভেম্বর ২০১৬

বেলুচিস্তানের মুক্তিসংগ্রাম

একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আর পাকিস্তান নীতি যেভাবে আমূল পরিবর্তন করেছিল ঠিক যেন তারই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে প্রায় পাঁচ দশক পরে, অবশিষ্ট পাকিস্তানের সবচেয়ে বৃহৎ প্রদেশ বেলুচিস্তানকে ঘিরে (যা সে দেশের আয়তনের প্রায় অর্ধেক)। সেখানে প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বেলুচ অধিবাসীরা তাদের ভূখণ্ডকে পাকিস্তানের দখলদারী থেকে মুক্ত করতে স্বাধীনতা সংগ্রামে রত। গত ১৫ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার লাল কেল্লা থেকে দেয়া স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামরত মানুষের ওপর দমনপীড়ন করতে গিয়ে পাক সামরিক বাহিনী যে ধরনের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তাতে উষ্মা প্রকাশ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মতো একাত্মতা ঘোষণা করেন; যা ইসলামাবাদ শাসকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। কারণ পাকিস্তানের শাসকরা খুব ভাল করেই জানে বেলুচদের দীর্ঘ বঞ্চনা, শোষণ, বৈষম্য ও নির্যাতনের ইতিহাস একদা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের চেয়েও করুণ এবং কোন অংশে কম নয়। পাকিদের কৃতকর্মের ফলে বেলুচরা আজ ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে শুধু বিদ্রোহ নয়, যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর সেই যুদ্ধে ভারত বেলুচদের পাশে থাকতে চায়। ঠিক যেমনটি ভারত করেছিল শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশীদার হয়ে। বেলুচদের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় ও প্রশ্নাতীত নেতা নবাব আকবর খান বুগতির নাতি ও অন্য বেলুচ নেতাদের ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করার আশ্বাস দেয়ার মাধ্যমে ভারত তার সহমর্মিতা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশের অস্থায়ী মন্ত্রিসভাকে ভারত থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিল্লী যেমন দিয়েছিল ঠিক একই সুযোগ এবার দিতে চলেছে বুগতির নেতৃত্বে গঠিত অস্থায়ী বেলুচ সরকারকে। ওই পথ নেয়া ছাড়া ভারতের অন্য কোন বিকল্প ছিল না। কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য প্রান্তে পাকিস্তান সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে যেভাবে ভারতকে বিপর্যস্ত করতে চাইছে তাতে দিল্লী খুবই ক্ষুব্ধ। বেলুচদের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতা ঘোষণা করে ভারত যে পাকিদের তার নিজের তেতো ওষুধ গেলাতে সক্ষম, তা প্রমাণ করতে চায়। তাছাড়া নৈতিকতার নিরিখে ভারত বেলুচদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করতে দায়বদ্ধ। কারণ দেশভাগের সময় বেলুচের রাজা আহমেদ ইয়ার খান তার এক দূতকে জওহরলাল নেহরু ও আবুল কালাম আজাদের কাছে পাকিস্তানের রাজার কর্তাদুল বেলুচিস্তানের কালাত (যার চার অঙ্গের একভাগ) স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। কেননা রাজা খবর পেয়েছিলেন জিন্নাহ গোপনে বেলুচিস্তানের দখলের ছক কেটে ফেলেছেন। ঠিক যেমনটি তিনি কাশ্মীরের ক্ষেত্রে করেছিলেন। কিন্তু নেহরু ও আজাদ রাজার দূতকে জানিয়ে দেন ওই প্রস্তাব তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আর এই সংবাদটি অল ইন্ডিয়া রেডিওর মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। এ খবরটি শুনে জিন্নাহ তৎক্ষণাৎ পাক সেনাবাহিনী নৌবাহিনীকে বেলুচিস্তান দখলের হুকুম দেন। ২৮ মার্চ ১৯৪৮ এক ব্রিটিশ জেনারেল পাক সেনাদের নিয়ে কালাতের রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করে এবং আহমেদ ইয়ার খানকে বন্দুকের ডগায় দাঁড় করিয়ে পাকিস্তানভুক্তির কাগজে সই করতে বাধ্য করে। নেহরু ও আজাদ বেলুচিস্তানের ভারতভুক্তির বিরোধিতা করেন এই বলে যে, বেলুচিস্তান ভারতের লাগোয়া অঞ্চল নয়। রাজস্তান-পাক সীমান্ত থেকে বেলুচিস্তানের দূরত্ব প্রায় ২০০ মাইল। মাঝখানে পাকিস্তান। শুধু এ মারাত্মক ভুল করে নেহরু ও আজাদ ক্ষান্ত থাকেননি, তারা আরও একটি ক্ষমাহীন ভুল করেন। বেলুচিস্তানের প্রধান গভীর সমুদ্রবন্দর গওয়াদর, যা এখন চীনা নৌসেনা ঘাঁটিতে রূপান্তরিত হয়েছে, সেটি তখন ওমানের সুলতান পাঁচ শ’ টাকার বিনিময়ে ভারতকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেই প্রস্তাবও নেহরু ও আজাদ প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, বনারাট ভারতের লাগোয়া নয়। তদানীন্তন ভারতীয় নেতৃত্বের অদূরদর্শিতার কারণে বেলুচদের ভাগ্যে বিপর্যয় নেমে আসে, যার জন্য তারা আজও তাদের বিড়ম্বনার জন্য ভারতকে দায়ী করে। বেলুচরা নিজেদের কখনই পাকিস্তানী বলে মনে করেনি এবং এখনও করে না। ভারত ভাগ হওয়ার পর বেলুচিস্তান ২২৭ দিনে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পায়। বেলুচিস্তানের পতাকা করাচীর বেলুচ দূতাবাসে পত্পত্ করে উড়ত। পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক আইনকানুন ভঙ্গ করে বেলুচিস্তান দখল করে সেটা অতি সাধারণ বেলুচরাও আজ অবধি কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি। যার ফলে তারা অতিসত্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং সেই যুদ্ধ আজও থামেনি। পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশনের সূত্রেÑ এ যুদ্ধে শুধু গত ২০০৬ থেকে আজ অবধি ২০,০০০ বেলুচ নিরুদ্দেশ হয়েছে। পাক বাহিনী তাদের বাড়ি, স্কুল-কলেজ, আদালত, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। অবশ্য মাঝে মাঝে গণকবরের হদিস মেলে যেখান থেকে পচাগলা লাশ উদ্ধার হয়। এ ছাড়াও ৩০০০ বেলুচকে বন্দীদশায় হত্যা করা হয়। এ হত্যাযজ্ঞ চালাবার কারণ যখনই বেলুচরা তাদের যুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্রতর করেছে, তখনই ইসলামাবাদ অতিরিক্ত সৈন্যসামন্ত নামিয়ে দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্রোহ ঘটে ১৯৭৩ থেকে ’৭৮-এ যখন জুলফিকার আলী ভুট্টো ক্ষমতায়। বাংলাদেশে পাকিস্তানের হার থেকে তিনি কোন শিক্ষাই নেননি। ভুট্টো ‘বুচার অব বেঙ্গল’ জেনারেল টিক্কা খাঁকে সামরিক অধিকর্তা করে সেখানে পাঠান বিদ্রোহ দমন করতে। টিক্কা সেখানে সামরিক অভিযান চালিয়ে ৫৩০০ বেলুচকে হত্যা করে। পাক বাহিনীর ৩৫০০ অফিসার ও জওয়ানের মৃত্যু হয়। টিক্কার ওই অভিযান এতটাই জিঘাংসামূলক ছিল যে পাকি (পড়ুন পাঞ্জাবী) ও বেলুচদের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। তাদের মধ্যে এক চরম অবিশ্বাস ও শত্রুতার বাতাবরণ গড়ে ওঠে। বর্তমানে এখনও যা বিদ্যমান। টিক্কা তার কৃতকর্মের ফলে বাংলাদেশের মতোই বেলুচিস্তানেও ‘বুচার অব বেলুচিস্তান’ বলে কুখ্যাতি লাভ করেন। যার ফলে বিদ্রোহের চরিত্র রাতারাতি যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। ২০০৬ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ বেলুচদের অবিসংবাদিত নেতা নবাব আকবর খান বুগতিকে আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করে তার গোপন ঘাঁটিতে হত্যা করে। ফলে এই যুদ্ধ এখন শুধু দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় সীমিত নেই; এই যুদ্ধ বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার রাস্তা পর্যন্ত গড়িয়েছে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার বেলুচ রাস্তায় নেমে স্বাধীনতার সপক্ষে সেøাগান দিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করছে এবং বেলুচ গেরিলারা সামরিক ঘাঁটি, সরকারী দফতর, আদালত এমনকি হাসপাতালকেও আক্রমণের নিশানা বানাচ্ছে, যাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ হতাহত হচ্ছে। বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন আরও গতি পায় যখন পাকিস্তান এ প্রদেশের অতীব মূল্যবান খনিজ সম্পদ আহরণের ইজারা চীনা কোম্পানিদের হাতে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর তৈরি করার উসিলায়। চীন এই তিন হাজার কিলোমিটার করিডর তৈরি করার জন্য ৪৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই করিডর গওয়াদার সমুদ্রবন্দরকে চীনের পশ্চিম প্রান্তের প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের কাশঘরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে জুড়বে। এই করিডর বরাবর তেল ও গ্যাস পাইপলাইন পাতা হবে, যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের যে ১৯ মিলিয়ন টন অশোধিত খনিজ তেল, যা চীন আমদানি করে তা গওয়াদার বন্দরে বেজিং স্থাপিত তেল শোধনাগারে শোধন করে চীনা মূল ভূখ-ে পাঠানো হবে। এর ফলে চীনের প্রচুর অর্থের সাশ্রয় হবে। কারণ চীনের বৃহৎ তেলবাহী জাহাজগুলোকে আর মালাক্কা প্রণালী হয়ে ঘুরে যেতে হবে না। বেজিংয়ের ভয় এ অঞ্চলে কোনদিন যদি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং চীনের শত্রুরা এই প্রণালী অবরোধ করে তাহলে চীন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হবে। কারণ চীনের ৫০ শতাংশ পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য ওই প্রণালী দিয়ে যায়। ইতোমধ্যে পাকিস্তান গওয়াদার বন্দরের পরিচালনার ভার এক চীনা কোম্পানির হাতে সঁপেছে। ওই বন্দরে হাজার হাজার চীনা নাগরিকের সমাগম ঘটেছে। সেখানে চীনের যুদ্ধ জাহাজ বিশেষ করে সাবমেরিনের এক বিশাল নৌঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। গওয়াদারে কয়েক হাজার চীনা শ্রমিক স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পেয়ে তাদের কাজকর্ম শুরু করেছে। বেলুচদের আশঙ্কা করিডরের কাজ পুরোমাত্রায় শুরু হলে চীনা ছাড়া অন্য বহিরাগতদের ভিড় আরও বাড়বে। বেলুচিস্তানের জনসংখ্যা কম হওয়ায় স্থানীয়দের জনবিন্যাস এতটাই হাল্কা যে, তাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা বিপন্ন হবে। তাই পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে বেলুচ বিদ্রোহকে ধূলিসাত করে দিতে চায়। আর সেই লক্ষ্যে তারা একসঙ্গে কাজ করে চলেছে যেহেতু করিডরের সিংহভাগ বেলুচিস্তানের মধ্য দিয়ে যাবে সেই কারণে পাকিরা ওই প্রদেশজুড়ে দমন পীড়নের মাত্রা সাঙ্ঘাতিকভাবে বৃদ্ধি করেছে। তার সঙ্গে ওই দুটি দেশ বেলুচিস্তানের সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য নতুন প্রজন্মের বেলুচদের নিশ্চিহ্ন করতে উদ্যত। চীন যাতে বেলুচিস্তান থেকে অবিরামভাবে কম দামে অফুরন্ত কাঁচামালের সরবরাহ পেতে পারে তার জন্য পাকিরা বেলুচদের সব ধরনের প্রতিরোধ আন্দোলনকে গুঁড়িয়ে দিতে মরিয়া। চীনা সামরিক বাহিনী পাক সামরিক বাহিনীকে এ লক্ষ্যে সাহায্য করছে আর বেলুচদের মধ্যে ঘৃতাহুতির কাজ করছে। বেলুচ লিবারেশন ফ্রন্টের প্রধান ডাঃ আল্লাহ নজরের বক্তব্য এ ব্যাপারে খুব পরিষ্কার। তার মতে, পাকিস্তান ও চীন বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করতে একযোগে হাত মিলিয়েছে। ডাঃ নজর পেশায় একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। ডাক্তার হিসেবে তার নামডাক আছে। কিন্তু চীনের ঔপনিবেশিক মনোভাব ও পাকিদের সীমাহীন জিঘাংসা তাকে ডাক্তারি ছেড়ে বন্দুক তুলে নিতে বাধ্য করেছে। তিনি বেলুচ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এক নতুন মুখ। বেলুচিস্তানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ আবুুল মালিক বেলুচের লাহোরে দেয়া এক সাম্প্রতিক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বেলুচদের যদি তাদের প্রদেশের সম্পদের অধিকার ভোগ করতে দেয়া না হয়, তাহলে পাকিস্তান এমন এক কঠিন বিদ্রোহের সম্মুখীন হবে, যা পাকিস্তান ও চীনের পক্ষে একক বা যৌথভাবে সামাল দেয়া অসম্ভব হবে।’ বেজিং চীন-পাক করিডর তৈরি করছে এ কারণে যে, বেলুচদের প্রাকৃতিক সম্পদ, গ্যাস, তেল, সোনা, কয়লা, তামা ও আকরিক লৌহ ব্যবহার করে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো, যা পাকিস্তানকে রাতারাতি একটি ‘এশিয়ান টাইগার’ দেশে উন্নত করবে। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে চীন পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিরিখে ভারতের সমকক্ষ করে তুলতে মরিয়া। ভারতকে চীন আরও বার্তা দিতে চায় আমরা পাকিস্তানকে শুধু আর্থিকভাবে সচ্ছল ও স্বয়ম্ভর দেশ হিসেবেই গড়ে তুলব না, পাক অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকাকে ভারত যাতে কোনদিন দখল করতে না পারে সেজন্য করিডরটি ওই অঞ্চলের বুক চিড়ে গেছে এবং করিডরের কয়েকটি প্রকল্প ওই এলাকায় স্থাপিত হবে। যে কারণে ভারত চীন ও পাকিস্তানের কাছে করিডর তৈরি করার ঘোর বিরোধিতা করছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডাঃ নজরের সংযোজন- ‘আমরা বেলুচরা জানি পাকিস্তান ও চীন পরের ধনে পোদ্দারি করে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে চায়। আমরা সেটা কদাপি হতে দেব না। তাদের এ প্রচেষ্টাকে আমাদের ব্যর্থ করতে হবেই। নইলে আমরা মুছে যাব পৃথিবীর বুক থেকে। আমরা জানি সংসদীয় রাজনীতি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমাদের জাতিসত্তা রক্ষা করতে পারব না। আমরা পাকিদের কাছ হতে কোন ন্যায়বিচার পাব না। আমাদের দাবি আদায় করতে হলে বন্দুক তুলে নেয়া ছাড়া অন্য কোন রাস্তা খোলা নেই। এই রূঢ় বাস্তবতাই আমাকে বিদ্রোহী হওয়ার প্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছে। ভারতের মোদি সরকার ও বাংলাদেশের হাসিনা সরকার এবং তাদের সঙ্গে আফগানিস্তানের গনি সরকার আমাদের যদি সাহায্য করে, ইনশাআল্লাহ আমরা জয়যুক্ত হবই হব। পাকিস্তান যতই আমাদের মাথার দাম লাখ লাখ টাকা ধার্য করুক না কেন, তাতে কোন কাজ হবে না।’ লেখক : ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক
×