ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

একটা ১১ টাকা

এবার ডিমের বাজারও বেপরোয়া

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ২২ মে ২০২২

এবার ডিমের বাজারও বেপরোয়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার ডিমের বাজারও বেপরোয়া। মাত্র দুই সপ্তাহে হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫-৭ টাকা। তাতে এক ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকায়। ঈদ পরবর্তী দুই সপ্তাহে ডিমের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে চরম অসন্তোষ। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা, বলছেন, ডিমের দাম বাড়লেও তাদের লাভ নেই। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও ও বাজারে লেয়ার মুরগির লাল ১০০ ডিম পাইকারি বিক্রি হয় ৮৯০-৯১০ টাকা দরে। এই ডিম মহাখালী, গুলশান, মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা হালিতে; যা ঈদের আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫-৩৬ টাকা হালিতে। অর্থাৎ হালিতে বেড়েছে ৫-৭ টাকা। তবে কোন ক্রেতা একটি কিংবা দুটি ডিম কিনছেন ১১ টাকা দিয়ে। এসব বাজারে লেয়ার মুরগির পাশাপাশি সাদা কক মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৭ টাকা হালিতে। এই মুরগির ডিমের ক্রেতা কম। আর পাকিস্তানী মুরগি ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালিতে। অপরদিকে সুপারপশগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪২-৫০ টাকায়। আর এক ডজন লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৬-১৫০ টাকায়। অর্থাৎ সুপারশপগুলোতে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে সাড়ে ১২ টাকায়। খচুরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ৭ মে পর্যন্ত ডিমের দাম কম ছিল। কিন্তু ৮ মে থেকে দাম বাড়তে শুরু করেছে। তারা বলেন, ঈদের আগে লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি করেছি ৩৫ টাকা হালি দরে। আর এক ডজন বিক্রি করেছি ৯৫-১০০ টাকায়। এখন এক ডজন ১২০ টাকায় বিক্রি করছি। বিষয়টি স্বীকার করেছে সরকারী নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয় ৩৬-৪২ টাকায়। যা এক মাস আগেও ছিল ৩২-৩৫ টাকায়। মালিবাগের ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর ডিমের বাজার গরম। হালিতে দাম বেড়েছে ৫-৭ টাকা। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মানুষ বেশি কিনছে তাই দাম বাড়ছে। বেশি দামে না কিনলে তো আর দাম বাড়ত না। তিনি বলেন, এক কেস (৩০) ডিম বিক্রি করছি ৩০০ টাকা। তাতে লাভ হয় সর্বোচ্চ ৫-৮ টাকা। কিন্তু একটি ডিম ভেঙ্গে গেলে চলে যায় ১০ টাকা। লাভ আর থাকে না। ব্যবসা ধরে রাখার জন্য ডিম বিক্রি করছি। মহাখালী কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন বলেন, মুরগির ডিম শনিবার কেনা ৯২০ টাকা শত। তার সঙ্গে আসা-যাওয়ার খরচসহ ডিমের দাম পড়েছে ৯৭০-৯৮০ টাকা। একশ’ ডিম বিক্রি করলে আমাদের লাভ হবে ২০-৩০ টাকা। এর মধ্যেও রয়েছে ডিম ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়। আপনি বলেন, কত টাকা লাভ হয়? তেজগাঁয় আড়তদার আশিকুর রহমান সজল বলেন, ঈদের পর সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সেটা তো আপনাদের চোখে পড়ে না। তিনি বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। এ কারণে খামারিদের কাছ থেকেও বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে।
×