ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যেকোনও প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজন তদারকি বাড়ানো ॥ নসরুল হামিদ

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

যেকোনও প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজন তদারকি বাড়ানো ॥ নসরুল হামিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তদারকি বাড়ানো খুব জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি বাড়াতে হবে। অটোমেশন ও পেপারলেস অফিস করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কার্যক্রম ‘বিজনেস মডেল’ অনুসারে করতে পারলে দ্রুত সাফল্য পাওয়া যাবে। রবিবার পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি। পদ্মা অয়েল কোম্পানির ‘কনস্ট্রাকশন অব-১২ (জি+১১) স্টোরিড মডার্ন রেসিডেন্সিয়াল কাম কমার্শিয়াল অফিস বিল্ডিং উইথ ২ বেজমেন্ট অব পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড অ্যাট ৬ পরিবাগ, ঢাকা-১০০০’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানটি হয়। এ সময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ঠিক রেখে এবং প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করে দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি করা উচিত। নির্মাণ কোড যেন যথাযথভাবে মানা হয়। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিদ্যমান সম্পদ নিরূপণের জন্য ফিন্যান্সিয়াল কনসালটেন্ট নিয়োগ করা প্রয়োজন। সম্পদ জানা থাকলে প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা বাড়ে। এসময় জানানো হয়, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় এবং প্রধান তেল স্থাপনা চট্টগ্রামে অবস্থিত। কোম্পানির ঢাকা অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৫১ সালে রাজধানীর ৬ পরিবাগে ১.৮৮ একর জমি কেনা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মেসার্স শহীদুল্লাহ এন্ড এসোসিয়েটস-এর সুপারিশ অনুযায়ী জায়গাটির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব, অত্যাধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন একটি বহুতল ভবন (২টি বেইসমেন্টসহ ১২-তলা (এ+১১)) নির্মাণের জন্য বর্ণিত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এতে কোম্পানির ১.৮৮ একর জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে কোম্পানির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য আধুনিক ও নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ করা হবে এবং অতিরিক্ত ফ্লোর স্পেস ভাড়া দিয়ে কোম্পানির রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে টাকা ৩৯৩০৬.০০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প মেয়াদ হবে ২০২২ সালের জানুয়ারি ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
×