ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এহসানের টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে পিবিআই

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

এহসানের টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে পিবিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর ॥ পিরোজপুরে এহসানের ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলা তদন্ত করছে নাজিরপুরে পিবিআইয়ের একটি টিম। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের মো. ছালেক শেখের ছেলে ভুক্তভোগী গ্রাহক মো. এস্রাফিল শেখ বাদী হয়ে গত ১৭ অক্টোবর পিরোজপুর জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এহসানের কাছে জমা দেওয়া টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করে সংস্থাটির উপজেলা মাঠকর্মী মো. সাঈদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে তার পরিবারের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে পাঠান। দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী ওই গ্রাহকসহ তার পরিবারের ৪ জনের জমা দেওয়া ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মাঠকর্মী সাইদুর রহমান। তবে অভিযুক্ত সাইদুর রহমানের দাবি ওই গ্রাহক তার আমানত নিজেই এহসানের জেলা অফিসে গিয়ে জমা দিয়েছেন। আর অফিস তাকে সে মর্মে কাগজপত্র দিয়েছে। তিনি আরও জানান, এহসান গ্রুপে আমি (সাইদুর) একজন মাঠকর্মী মাত্র। আমিসহ আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরাও ভুক্তভোগী। তাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা জমা রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা সদরের ভুক্তভোগী গ্রাহক মো. আবু বকর ফরাজী জানান, সংস্থাটির পরিচালক মো. রাগীব আলীর উদ্যোগে আয়োজিত এক মাহফিলে সুদ মুক্ত মুনফা দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই মাহফিল শুনে সংস্থাটির অফিসে গিয়ে তার (আবু বকর) পরিবারের প্রায় ২০ লাখ টাকা সংস্থাটিতে জমা দেন। কয়েক মাস যথাযথভাবে লাভ পেলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, জমা দেওয়া ওই টাকা আত্মসাতের জন্য সংস্থাটির চেয়ারম্যান দায়ী, মাঠকর্মী নন। একই তথ্য জানান ভুক্তভোগী মো. ফাইজুল হাসান হাওলাদারসহ স্থানীয় বিভিন্ন গ্রাহকরা। এ ব্যাপারে পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বায়েজিদ হোসেন জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। জানা গেছে, উপজেলার প্রায় অর্ধশত মাঠকর্মীর মাধ্যমে সহস্রাধিক গ্রাহকের শতকোটি টাকা আমানত হিসেবে গ্রহন করেছে সংস্থাটি। আমানত রাখার প্রথম দিকে কয়েক মাস গ্রহকদের মুনফা দিলেও পরে তা বন্ধ করে দেন। সংস্থাটি ২২ হাজার কর্মীর মাধ্যমে পিরোজুপর, বারিশাল, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা ও যশোর, সাতক্ষীরা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত হিসেবে নেওয়া প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। ওই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাওলানা রাগীবসহ তার তিনজনকে পলাতক অবস্থায় ঢাকা থেকে আটক করে র‌্যাব।
×