স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুর্যাল নিয়ে কটূক্তিকারী রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাসকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে রাজশাহীতে। অডিও ভাইরালের পর থেকে জনরোষ এড়াতে লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন আব্বাস। তবে থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যেকোন মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন মেয়র আব্বাস। রাসিক কাউন্সিলর মোমিনের করা মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের সম্ভাবনা রয়েছে তার।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখছেন। তদন্ত ও প্রমাণ সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত চলছে। অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাইয়ে একজন এক্সপার্টিজের সাহায্য নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া শুক্রবার মেয়র আব্বাস নিজেই ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছেন। এতে প্রমাণিত, তিনি দোষী। ওসি বলেন, তার গ্রেফতারের জন্য দুটো আলামতই যথেষ্ট। একটা হচ্ছে- অডিও ক্লিপ ও দ্বিতীয়টি তার ফেসবুকে এসে তার মাফ চাওয়া। এই দুটো জিনিসই যথেষ্ট। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অবস্থান খোঁজার জন্য আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা নিচ্ছি। আশা করছি যেকোন মুহূর্তে মেয়র আব্বাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।
মেয়র আব্বাসকে গ্রেফতারের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমতিপত্রের প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে ওসি নিবারণ বলেন, যদি সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হতো তাহলে স্থানীয় সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তাকে গ্রেফতার করতে হতো। কিন্তু তার অপরাধটি সিআরপিসি জাতীয় মামলা। এ মামলায় ‘সেনশন অর্ডার বা পূর্বানুমতির’ প্রয়োজন নেই। তারপরও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চিঠি জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া হয়েছে। তবে সেটির বাধ্যবাধকতা নেই, শুধুমাত্র অবগত করা।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অনাস্থাপত্রের বিষয়ে পৌর রেজুলেশনের কাগজাদি আমি গ্রহণ করেছি। এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর একটি প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কয়েকদিন পূর্বে আমার কাছে মেয়র আব্বাসের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার কাগজটিও হাতে এসেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: