ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুইডিশ প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদ ছাড়লেন

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ২৫ নভেম্বর ২০২১

সুইডিশ প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদ ছাড়লেন

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন । বুধবার (২৪ নবেম্বর) তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ নবেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স, সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা। বুধবার সুইডেনের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন । একইসঙ্গে সুইডিশ রাজনৈতিক দল স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বেও রয়েছেন তিনি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তার জোটসঙ্গী একটি দল সরকার থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে পার্লামেন্টে বাজেট পাস করতে ব্যর্থ হয় সুইডিশ সরকার। এরপরই পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগের পর ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন সাংবাদিকদের জানান, আমি পদত্যাগ করতে চাই। এটি আমি স্পিকারকে বলেছি। তিনি আরও জানান, তিনি আবারও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চান। তার দল এককভাবে সরকার গঠন করতে সমর্থ হলেই কেবল দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদে যাবেন তিনি। স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই নেতা জানান, সুইডেনের সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী, জোটগত ভাবে গঠিত কোনো সরকার থেকে একটি দল বেরিয়ে গেলে পুরো সরকারেরই পদত্যাগ করা উচিত। তার ভাষায়, ‘আমি এমন কোনো সরকারের নেতৃত্বে থাকতে চান না, যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’ এদিকে দলীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুইডিশ পার্লামেন্টের স্পিকার। উল্লেখ্য, গত ১০ নবেম্বর সুইডেনের মধ্য-বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লোফভেন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করায় বুধবার তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুইডেনের ৩৪৯ আসনের সংসদে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ১১৭ জন, ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫৭ জন, বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এবং একজন অনুপস্থিত ছিলেন। সুইডেনের আইন অনুযায়ী, সংসদে একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থনের দরকার হয় না। প্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার প্রয়োজন নেই; তবে ১৭৫ জনকে বিপক্ষে ভোট দিতে হয়। সুইডেনে কখনোই নারী প্রধানমন্ত্রী ছিল না। যদিও দেশটি লৈঙ্গিক সমতায় বিশ্বে উদাহরণ হয়ে থাকেবে। তবে নর্ডিক অন্যান্য দেশ যেমন নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডে নারীরা সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
×