ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আইনী জটিলতা কাটাতে উপদেষ্টা নিতে চায় বিএসইসি

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ২৭ মে ২০২১

আইনী জটিলতা কাটাতে উপদেষ্টা নিতে চায় বিএসইসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজার সংক্রান্ত আইন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে ‘আইন উপদেষ্টা’ নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির একজন সাবেক কমিশনারকে এ পদে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে কমিশন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টা হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত আইন উপদেষ্টার মেয়াদকাল ৩০ মাস নির্ধারণ করেছে বিএসইসি। এছাড়া আইন উপদেষ্টার পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। এ অর্থ কমিশন তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করবে। আর প্রস্তাবিত আইন উপদেষ্টাকে সরাসরি নিয়োগ দেবে বিএসইসি। তবে বিএসইসি নেয়া এ সব সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন হবে। বিএসইসি মনে করে, আইন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হলে কমিশনে আইন বিষয়ক কর্মকা-ে কাজে অধিকতর গতিশীলতা আসবে। এছাড়া আইন বিভাগ কার্যক্রম সূচারুভাবে পরিচালনা এবং শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। বিএসইসি সূত্রে আরও জানা গেছে, খন্দকার কামালুজ্জামানকে আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে প্রস্তাব করেছে বিএসইসি। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি বিএসইসিতে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কমিশনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রায় ৫৫০টি মামলা উচ্চ ও নি¤œ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কমিশনের মামলা-মোকদ্দমা দিন দিন বাড়ছে। মামলাগুলো নির্ধারিত তারিখে আইন বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। বিচারাধীন মামলার আরজি ও জবাব অনুচ্ছেদ ভিত্তিক মন্তব্য প্রস্তুত, আইনগত মতামত প্রদান রেটিং ও অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন আইন বিভাগ করে থাকে। কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ আইন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন বিচার কার্যক্রম থাকে। ওই বিভাগের কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন খন্দকার কামালুজ্জামান। তার মেয়াদকালে কমিশনের মামলার সংখ্যা ও এনফোর্সমেন্ট বিভাগের অভিযোগসমূহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। খন্দকার কামালুজ্জামানের নেতৃত্বে বেশকিছু শুনানি আংশিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেসব শুনানি সম্পন্ন করার জন্য তার উপস্থিতি কমিশনকে উপকৃত হবে বলে মনে করে কমিশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করেছি। এখন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কোভিডের কারণে একটু সময় লাগছে। আশা করি, সরকার সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বিএসইসি থেকে এমন একটি প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছে। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকার সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
×