ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লাখ লাখ টাকা গচ্চা

সান্তাহারে ড্রেন ভরাট করে ভাগাড়, ফের খনন

প্রকাশিত: ২০:৫২, ৪ মে ২০২১

সান্তাহারে ড্রেন ভরাট করে ভাগাড়, ফের খনন

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ৩ মে ॥ সান্তাহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ড্রেনে আবর্জনা ফেলে ভাগাড় করা এবং সেই বিশাল ভাগাড় খনন করে কাঁচা ড্রেন করার অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের এমন স্ববিরোধী কাজকে ভাল কাজ দাবি করা হলেও কোন প্রকার টেন্ডার করা হয়নি। জানা গেছে, শহরের ঘোড়াঘাট থেকে রেলওয়ে মালগুদাম হয়ে লোকো পশ্চিম কলোনির সাবেক ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র পর্যন্ত থাকা কাঁচা ড্রেন এবং খাদে দীর্ঘদিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ আবর্জনা ফেলে ভাগাড় হিসেবে ভরাট করে আসছিল। সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ ভরাট করা সেই ভাগাড় খনন কাজ শুরু করে। পৌর পরিষদের সিদ্ধান্তের দোহায় দিয়ে প্রায় হাজার ফুট দৈর্ঘ্যরে ওই খনন কাজ করা হচ্ছিল টেন্ডার ছাড়াই। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল প্রশ্ন তোলায় পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অনিয়মের এই খনন কাজ করতে গিয়ে প্রায় ২৫/৩০টি ফলদ ও বনদ গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের এ কাজ কারও কোন উপকারে আসবে না। কারন হিসেবে তারা দাবি করেন বৃষ্টি হলেই খনন করা আবর্জনা ও মাটি ফের ড্রেনে পড়ে ভরাট হয়ে যাবে। এর ফলে খনন কাজে ব্যয় করা রাজস্ব খাতের লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যাবে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মাঝে নানা প্রশ্ন উঠার পর কাজটি আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এত বড় কাজ টেন্ডার ছাড়া শুরু করা ঠিক হয়নি। এছাড়া যেভাবে কাজ করা হয়েছে তাতে বৃষ্টি হলেই কাঁচা ড্রেন ও খাদ ফের ভরাট হয়ে যাবে। একাজের প্রয়োজনীয়তা, টেন্ডার না করা এবং ব্যয়ের খাত ব্যাপারে সান্তাহার পৌরসভার প্রকৌশলী রেজাউল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার ব্যাপারে মেয়রের নিষেধ আছে বলে জানান। তিনি মেয়রের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ফোন রিসিভ করেনি।
×