ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অলিম্পিক আয়োজনে এগিয়ে চলেছে জাপান

প্রকাশিত: ০০:০৩, ১৩ এপ্রিল ২০২১

অলিম্পিক আয়োজনে এগিয়ে চলেছে জাপান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টোকিও অলিম্পিক নিয়ে এখন আর কোন সন্দেহ নেই। পূর্ব ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে ক্রীড়ার এই মহাযজ্ঞ। ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি থমাস বাখ। গোটা বিশ্বকে নিরাপদ ও নিñিদ্র অলিম্পিক উপহার দেয়ার লক্ষ্যে এই সময়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি পুরোদমে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে থমাস বাখ বলেন, ‘২৩ জুলাই টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে এখন আর সন্দেহ করার কোন কারণ নেই। কখন হবে সে প্রশ্ন করার সুযোগ এখন আর নেই বরং কীভাবে অলিম্পিক হবে সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।’ গত সপ্তাহেই দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন থমাস বাখ। নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পেয়েই নিরাপদ ও সুন্দরভাবে টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ৬৭ বছর বয়সী বাখ আরও বলেন, ‘জাপানীজ সতীর্থ ও বন্ধুদের সঙ্গে আইওসি পূর্ণ গতিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশে^র সব এ্যাথলেটদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর গেমস উপহার দেয়াই এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।’ চলতি মাসের শেষে জাপানীজ আয়োজক কমিটি ঘোষণা দেবে বিদেশী দর্শকরা গেমসে উপভোগের অনুমতি পাবে কিনা। যদিও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে সেই সম্ভাবনা কিছুটা হলেও ক্ষীণ হয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত রয়েছে। এদিকে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাও জানিয়েছেন টোকিও অলিম্পিক জুলাইতেই হবে। জাপানের পার্লামেন্টে সুগা বলেন, ‘আমরা করোনা ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। এই অলিম্পিক যাতে বিশ্বজুড়ে মানুষকে আশা ও সাহস দিতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।’ জাপানের অধিকাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন, অলিম্পিক হবে না বা হওয়া উচিত নয়। স্থানীয় মিডিয়ার করা সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অলিম্পিক হওয়া উচিত নয় বা আয়োজন করা সম্ভব নয়। তবে সুগা জানিয়েছেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনা নিয়ন্ত্রণে আনব। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেব।’ বিদেশী দর্শক ॥ আগামী জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে টোকিও অলিম্পিক। তবে সোয়া শ’ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম অলিম্পিকে থাকছে না বিদেশী সমর্থকদের অংশগ্রহণ। এমনকি প্যারা অলিম্পিকেও। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আয়োজক কমিটি। গেমস উপভোগের জন্য জাপানী নাগরিকরা তুলনামূলক অনেক বেশি নিরাপদ বলেই আয়োজকদের দাবি। তাদের বিপরীতে বিদেশ ভ্রমণ করে আসা পর্যটকরা ভাইরাসের বাহক হিসেবে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে গেমস আয়োজন করতে বাধ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত একটি গেমসের জন্য মোটেই সুখকর নয়, এমনকি কঠিনও বটে। অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে এই ধরনের সিদ্ধান্ত প্রথমবারের মতো গ্রহণ করা হলো। মহামারীর মধ্যেও গেমস আয়োজনে বদ্ধপরিকর জাপানের আয়োজক কমিটি এভাবে হলেও খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে চায়। দুঃখজনক হলেও এক বিবৃতিতে বিষয়টির সঙ্গে পুরোপুরি সহমত পোষণ করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটি। আইওসি’র প্রধান থমাস বাখ জানিয়েছেন সকলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অলিম্পিক নিয়ে আগ্রহী দর্শকদের মতো আমিও হতাশ। বিশেষ করে এ্যাথলেটদের পরিবার-পরিজন, যারা গেমস দেখতে চেয়েছিলেন, তাদের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু সবার আগে নিরাপত্তা।’ সরাসরি মাঠে বসে উপভোগের সুযোগ না থাকলেও বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন সম্প্রচারের মাধ্যমে গেমসের আবহ ছড়িয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে টোকিও অলিম্পিক। ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে প্যারা অলিম্পিক।
×