নিজস্ব সংবাদদা, লালমনিরহাট ॥ আজ বুধবার দুপুরের লালমনিরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাশকতার পরিকল্পা ও হামলার সময় গোপন বৈঠকরত আটক জামাতের আমীন ও জামাত মিবিরের ক্যাডারকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ কোর্টে সোপর্দ করেছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নিদের্শ দিয়েছে। এই ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরা বড় ধরণের নাশকতার পায়তারা করছিল। নাশকতার পরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে মাঠে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো কাজ করছে।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম মুন্সির বাজার সংলগ্ন গ্রামটির একটি নির্জন বাড়িতে গোপনে পরিকল্পার সময় পুলিশ খবর পেয়ে বাড়িটি ঘেরার করে এই ৯ জন জামাত শিবিব ক্যাডারকে আটক করেছে। এদেও কাছ হতে বেশকিছু জিহাদী বই, চাঁদার রশিদ, মোবাইল ফোন, ভিডিও, অডিও ও কাগজের চিরিকুট, হাতে লেখা ম্যাপ পাওয়া গেছে। আটককৃতরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তুষভান্ডার ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোজাম্মেল হক (৫৩), একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে শাহীন মিয়া (৩৫), মৃত উসমান আলীর ছেলে আবু বক্কর (৭০), মৃত নজমুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৭), মৃত ফয়জার উদ্দিনের ছেলে ফুয়াদ হোসেন (৪০), মৃত নজরুল হকের ছেলে সাবু মিয়া (৫০), বৈরাতি গ্রামের ফজলে রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০), একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩০) ও জামির বাড়ি গ্রামের বেলাল মোস্তফার ছেলে আবু সাঈদ (২৬)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, আটক জামাত নেতা কর্মীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জিহাদি বই, লিফলেট ও চাঁদা আদায়ের, চিরিকুট ও হাতে লেখা ম্যাপের মত কিছু পাওয়া গেছে। মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: