ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা খালেদা চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলেন

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সততার জয় হয়েছে

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সততার জয় হয়েছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘সততার জয়’ হয়েছে উল্লেখ করে সরকারী দলের মন্ত্রী-এমপিরা বলেছেন, দেশের কিছু তথাকথিত সুশীল, এনজিও কর্মকর্তা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পদ্মা সেতু নিয়ে চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলেন। তারা নানাভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। সততার ও সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সকল অপচেষ্টা নস্যাত করে দিয়েছেন। প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সরকারী দলের সদস্য মুজিবুল হক, এনামুল হক, বেনজির আহমেদ, জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, নুরুল আমিন ও শেখ এ্যানি রহমান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির রানা মোঃ সোহেল ও নাজমা আখতার। আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অসংখ্য সাফল্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশে অসাংবিধানিক ধারায় ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল করায় সে অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর খুনীসহ জেলহত্যার খুনীদের বিচার নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও তা কার্যকর করে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। বিচার হয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার। এভাবে তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে সুশাসন নিশ্চিত করেছেন। প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে সাম্প্রদায়িক সম্পৃক্ততা সহকারে স্ব স্ব ধর্ম চর্চা করতে পারে সে ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানসহ সকল সম্প্রদায় ধর্মীয় উৎসবসমূহ উৎসবমুখর পরিবেশে করতে পারছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
×