ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চসিক নির্বাচন

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২০ জানুয়ারি ২০২১

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন। এরমধ্যে প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন পাঁচ দিন। ফলে এখন প্রচার এবং কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে মাইক প্রচার, গণসংযোগ ও পথসভা। পোস্টারে ছেয়ে গেছে মহানগরীর মূল সড়ক এবং অলিগলি। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটের আমেজ ততই ধরা দিচ্ছে। অথচ, শুরুতে তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছিল না ভোটারদের মধ্যে। প্রার্থীরা যেভাবে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন এবং গণসংযোগগুলোতে অংশগ্রহণ যেভাবে বাড়ছে, তা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বাভাসই দিচ্ছে। চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডাঃ শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে হচ্ছে মেয়র নির্বাচন। ফলে নৌকা ও ধানের শীষ স্লোগানে মুখর বন্দরনগরীর অলিগলি। তবে নির্বাচনকে বেশি জমিয়ে তুলেছে কাউন্সিলর পদগুলো। একই ওয়ার্ডে প্রধান দুই দলের প্রার্থী ছাড়াও রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও। এই বিদ্রোহীরা দলীয় সমর্থন না পেলেও এলাকায় বেশ প্রভাব রাখেন। এরমধ্যে রয়েছেন ডজনখানেক সাবেক কাউন্সিলরও। দলের নেতাদের হুঙ্কারেও তারা মাঠ থেকে সরে দাঁড়াননি। বরং সমানতালে রয়েছেন প্রচারে। আর মেয়র পদে প্রচারের ক্ষেত্রে নৌকা-ধানের শীষ কেউ কারও থেকে কম কম নয়। আওয়ামী লীগের জন্য এ লড়াই মর্যাদার। অপরদিকে, বিএনপির জন্য এটা জয়লাভের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রতীকের স্লোগানে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মাঠে নেমেছে। ফলে এটি এক ধরনের চাঙ্গা হওয়ার ইস্যুও। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী মঙ্গলবার গণসংযোগ চালান মহানগরীর উত্তর আগ্রাবাদ এলাকায়। তার সঙ্গে ছিলেন দলের মহানগর এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তিনি নিজ হাতে প্রচারপত্র বিলি করেন ভোটারদের মাঝে। একাধিক স্পটে হ্যান্ড মাইকে বক্তৃতাও করেন। বড় ধরনের সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু গণসংযোগকালে কোন কোন স্পটে জমায়েত বেশি হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে হয়ে যায় সংক্ষিপ্ত পথসভা। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হওয়ায় রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রামে বেশকিছু বড় প্রকল্প গৃহীত ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অপরদিকে, বিএনপির প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন এদিন গণসংযোগ চালান মাদারবাড়ি, কদমতলীসহ সংলগ্ন এলাকায়। তার সঙ্গে ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এবং জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ধানের শীষ প্রতীক হাতে স্লোগানে মুখর হয় ওই এলাকা। প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত বলেন, গণসংযোগে যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। ধানের শীষের প্রতি এদেশের মানুষের আবেগ রয়েছে। সেজন্যই সাধারণ মানুষও গণসংযোগ ও প্রচার শামিল হচ্ছে। মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপির প্রার্থী। তবে ভোট ডাকাতির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ আছে। জনগণ সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবে। সিএমপির ৫ ওসি রদবদল ॥ চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ৫ থানার ওসি বদল হয়েছেন। এছাড়া আরেকজন ওসিকে সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী এ রদবদল হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। গত সোমবার সন্ধ্যায় এ রদবদলের আদেশ হয়।
×