ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাইফউদ্দিন অনিশ্চিত ওয়ানডে সিরিজে!

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

সাইফউদ্দিন অনিশ্চিত ওয়ানডে সিরিজে!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ হবে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগে হবে। ২০ জানুয়ারি প্রথম ওয়ানডে দিয়ে সিরিজ শুরু হবে। এ সিরিজে পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। অনিশ্চিত তিনি। এখনও তিনি পুরনো গোড়ালির চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে যে চোট পেয়েছিলেন, এখনও ভুগছেন। লিগামেন্টে সমস্যা আছে। তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এরপর সবকিছু ঠিক থাকার ওপর সাইফউদ্দিনের ম্যাচ খেলা নির্ভর করছে। তাতেই সাইফউদ্দিনের সিরিজে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের জন্য নতুন বছরের শুরুতেই দল ঘোষণা করা হয়ে যেতে পারে। ৭ জানুয়ারি ওয়ানডে দলের ক্রিকেটাররা জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ঢুকে যাবেন। হোটেলে উঠবেন। এর আগেই দল ঘোষণা হবে। খেলা ২০ জানুয়ারি শুরু হলেও নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা করোনা পরীক্ষা দিয়ে ‘নেগেটিভ’ হয়ে এক সঙ্গে অনুশীলন করা শুরু করে দেবেন। এর আগে দল ঘোষণা হয়ে গেলে, হাতে তিন সপ্তাহ সময় মিলবে না। যদি তাই হয়, তাহলে সাইফউদ্দিন ওয়ানডে সিরিজে নাও থাকতে পারেন। ২০ জানুয়ারি প্রথম, ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় ও ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। হাতে সময় আছে ২৬ দিন। যদি তিন সপ্তাহ সময় লাগে, তাহলে ২১ দিন চলে গেল। হাতে থাকবে ৫ দিন। এই সময়ের মধ্যে সাইফউদ্দিনকে বোলিং, ব্যাটিং, রানিং, ফিটনেস; সবদিকেই পুরো ফিট হতে হবে। তাহলেই কেবল সিরিজ খেলতে পারবেন সাইফউদ্দিন। যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে সাইফউদ্দিনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে থাকা কঠিনই মনে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ শুরুর আগেই গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। এরপর রাজশাহীর হয়ে খেলেন তিনি। কিন্তু দরকার ছিল এমআরআই করানো। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। টি২০ কাপ শেষে জৈব সুরক্ষা বলয়ও শেষ হয়েছে। এরপর এমআরআই করানো হয়। তাতেই সমস্যা ধরা পড়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাইফউদ্দিনকে তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে সাইফউদ্দিন নিজেই জানিয়েছেন, ‘আমরা টুর্নামেন্ট চলাকালীন বায়ো বাবলে ছিলাম। যার কারণে এমআরআইটা করতে পারি নাই। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর এমআরআই যখন করি লিগামেন্টে কিছু সমস্যা ছিল। আমি অনুভব করছিলাম যে নরমালি ব্যথা হলে এক সপ্তাহ পর চলে যাওয়ার কথা। তারপর কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। তো লিগামেন্টের সমস্যা হওয়ার পর এখন যে দেবাশীষ (চৌধুরী) স্যার আছে ফিজিও আছে আমাদের শাওন ভাই, বায়োজিদ ভাই তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। উনাদের প্ল্যান অনুযায়ী আগাচ্ছি আর কি।’ তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে সাইফউদ্দিনকে। এরপর কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র মিললেই কেবল ম্যাচ খেলার অনুমতি পাবেন সাইফউদ্দিন। সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘লিগামেন্টে কিছু সমস্যা বাকিটা তো আমি জানি না গ্রেড ১ নাকি ২। কিছু আছে নিশ্চয় যার কারণে আমাকে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো উনাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে এই টুকুই জানি। আমি আশাবাদী। এরপর আমার কিছু টেস্ট নেবে, বোলিং টেস্ট বা রানিং, ফিটনেস ওভারঅল। সবকিছু যদি টিকে যাই তাহলে হয়তো বা ছাড়পত্র পাব।’ ইনজুরি থেকে মুক্ত হন। আবার ইনজুরিতে পড়েন সাইফউদ্দিন। এর আগে গত বছর নবেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে থাকতে পারেননি সাইফউদ্দিন। তখন পিঠের ব্যথায় ভোগেন। সিরিজ খেলা হয়নি। এবার টি২০ কাপের আগে ইনজুরিতে পড়লেন। কয়েকটি ম্যাচ খেললেও সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন। সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘এইটা আসলে অভ্যাস হয়ে গেছে ২০১০ থেকেই। যখন আমি প্রথম বোর্ডের অধীনে সফর করি, পিঠে ব্যথা পেয়েছিলাম। সিটি ক্লাব মাঠে যখন অনুশীলন ম্যাচ খেলছিলাম তখন ডাইভ দিতে গিয়ে কব্জিতে চোট পেয়েছিলাম। আমার শুরুটা এভাবেই। এইখানে কিছু করার নেই। রুবেল (হোসেন) ভাইকে দেখেন- দশ বছরেরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। উনিও ইনজুরিতে পড়েছেন টুকটাক তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন না। মাশরাফি (বিন মর্তুজা) ভাইও অনেকবার ইনজুরিতে পড়েছেন আবার কামব্যাক করেছেন আবার ইনজুরিতে পড়েছেন। একেকটা ক্রিকেটারের ভাগ্য একেকরকম। এইখানে তো কারও হাত নেই। তারপরও চেষ্টা করি নিজেকে যতটা ফিট রাখা যায়। সর্বশেষ যে ইনজুরিটা হয়েছে এইটা খুবই ‘সিলি’। এটাই জীবন।’
×