ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রোগীর মৃত্যুর ঘটনায়

বিএসএমএমইউ’র ৪ ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়েছে আদালত

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২৯ নভেম্বর ২০২০

বিএসএমএমইউ’র ৪ ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়েছে আদালত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপারেশনের পর এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করা মামলা আমলে নিয়েছে আদালত। মামলায় একটি কিডনি অপসারণের জায়গায় দুই কিডনি অপারেশনের কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার শাহবাগ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত রওশন আরা (৫৫) নামের ওই রোগীর ছেলে মোঃ রফিক শিকদার। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকরা হচ্ছেন, বিএসএমএমইউ’র ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল (৫৫), একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ফারুক হোসেন (৪৮), ডাঃ মোস্তফা কামাল (৪৬) ও আল মামুন (৩৩)। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রফিক ২০১৮ সালের ১ নবেম্বর শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। দুই বছর পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পান রফিক। দুইটি কিডনিই অপারেশন করার কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে রফিকের অভিযোগ। ২০১৮ সালের ১ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য রওশন আরা অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান দুলালের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন। ওই বছরের ১৫ জুলাই তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট চিকিৎসক হাবিবুর রহমান দুলাল রওশন আরার বাম কিডনিটি অপসারণ করতে বলেন। ওই দিন দুপুরে অভিযুক্ত চিকিৎসকরা বাম পাশে থাকা কিডনিটি অপসারণের জন্য অপারেশন করেন। অপারেশন শেষে একটি কিডনি স্বজনদের হাতে দেয়া হয়। এরপরই রোগীর অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ না থাকায় তাকে মগবাজারে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। ৬ আগস্ট ওই হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রফেসর ডাঃ ফখরুল ইসলাম পরীক্ষা করে জানান, রওশন আরার দুটি কিডনির একটিও নেই। ওই বছরের ১২ আগস্ট অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের পরামর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশ এ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রওশন আরার ডান কিডনিটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তার দুটো কিডনি পৃথক অবস্থায় ছিল। রাতে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। রাত দশটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
×