ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ শহীদ ডাঃ মিলন দিবস

প্রকাশিত: ২৩:০০, ২৭ নভেম্বর ২০২০

আজ শহীদ ডাঃ মিলন দিবস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ ২৭ নবেম্বর, শহীদ ডাঃ মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই তারিখে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেয়া ঘাতকের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নির্মমভাবে নিহত হন শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। তিনি ছিলেন সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগঠক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্মসচিব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক। শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলনের আত্মদানের মধ্য দিয়ে সেদিনের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। তার আত্মদান সে সময় চলমান আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দেয়, আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। এ মর্মান্তিক ঘটনার মাত্র ১০ দিনের মাথায় ছাত্র-জনতার তীব্র গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়। দেশ যাত্রা শুরু করে গণতান্ত্রিক ধারায়। ওই দিন থেকে প্রতিবছর ২৭ নবেম্বর ‘শহীদ ডাঃ মিলন দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দল হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচী। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে নিয়েছে নানা কর্মসূচী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মিলন চত্বরে স্মরণসভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। অন্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ডাঃ শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, বিশেষ মোনাজাত ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, কালো ব্যাজ ধারণ এবং সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিএসসি মোড়ে শহীদ ডাঃ মিলনের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করা হবে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, শহীদ ডাঃ মিলন ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী এক সৈনিক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। মিলন গণতন্ত্রের শক্তি।
×