অনলাইন ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ইরান পুনরায় মাটির নিচে পরমাণু প্লান্ট তৈরি করছে। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রসি মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসে এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। স্বাক্ষরকারী বাকী ৫ দেশ যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স চুক্তিতে থাকলেও এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে আগুন লাগে। কারও নাম না নিয়ে ইরান দাবি করে, চক্রান্ত করে আগুন লাগানো হয়েছিল। এবার পুনরায় তারা পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করছে বলে তথ্য প্রকাশ করল জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রসি এপি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নতুন করে মাটির গভীরে পরমাণু প্লান্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে ইরান। ইউরেনিয়ামও জমাতে শুরু করেছে দেশটি। তবে পরমাণু অস্ত্র তৈরির মতো ইউরেনিয়াম এখনও তাদের কাছে নেই।’
পরমাণু চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে ইরান। ২০০২ সালে প্রথম স্যাটেলাইট ইমেজে ইরানের পরমাণু শক্তিকেন্দ্রের বিষয়টি ধরা পড়ে। পশ্চিমা বিশ্ব এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ২০০৩ সালে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা ইরানের পরমাণু চুল্লি দেখতে যান। তারা জানান, মাটি থেকে সাত দশমিক ছয় মিটার নিচে তৈরি করা হয়েছে ওই পরমাণুকেন্দ্র। বিমান হামলাতেও যাতে কেন্দ্রটির কোনো ক্ষতি না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা এলাকাজুড়ে রাখা হয়েছে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল।
ইরান যেন পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সেই বিয়ষটি মাথায় রেখেই ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, পরমাণু গবেষণা করতে পারলেও ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরেনিয়ামের বেশি জমা করা যাবে না বলেও চুক্তিতে স্থির হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছে, গোপনে নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করছে ইরান। যদিও তার কোনো প্রমাণ এখনও সামনে আসেনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: