ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার অনুভূতি অন্যরকম’

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৭ অক্টোবর ২০২০

‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার অনুভূতি অন্যরকম’

রুমেল খান ॥ বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডারকে অনেকেই ডাকেন ‘বাংলার রামোস’ বলে। আর বেশিরভাগ ফুটবলবোদ্ধাই তাকে বলেন, ‘জাতীয় দলের অন্যতম মূল ভরসা।’ ২০১৬-১৭ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫৮ লাখ টাকায় আবাহনী লিমিটেড থেকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। রক্ষণভাগ থেকে আক্রমণে উঠে গোল করে বিভিন্ন সময় ক্লাব দলকে (মোহামেডান, শেখ জামাল, আবাহনী, সাইফ এবং বসুন্ধরা কিংস) এবং জাতীয় দলকে (২৪ ম্যাচে ৩ গোল) বুঝিয়েছেন তিনি আসলেই দলের জন্য অপরিহার্য খেলোয়াড়। ১৯৯৪ সালের ২০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয়া ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী এই ফুটবলারের নাম তপু বর্মণ। চোট পেয়ে অনেকদিন ধরেই ফুটবল খেলতে পারেননি। গত বছরের শেষদিকে ঘরোয়া ফুটবল দিয়ে আবারও চিরচেনা সবুজ মাঠে ফেরেন তিনি। বছরের শুরুতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে জাতীয় দলের হয়ে অংশ নেন। যদিও জীবনঘাতী করোনার কারণে আবারও খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ১৩ ও ১৭ নবেম্বর নেপালের বিরুদ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য ৩৬ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তপু। ইতোমধ্যেই ১৫ জন ক্যাম্পে যোগ দিলেও বসুন্ধরা কিংসের ১৪ খেলোয়াড় মঙ্গলবার যোগ দেবেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইলে পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। ক্যাম্পে যোগ দেয়া ও নেপালের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ নিয়ে তপু বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে বেশ কয়েক সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। কোভিড-নাইনটিন টেস্ট করিয়ে ক্লাবের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম। তাই কোথাও যেতে পারিনি। দুই মাস পর বাসায় এসেছি।’ তপু আরও যোগ করেন, ‘মার্চের ১১ তারিখে শেষবার মাঠে নেমে খেলেছিলাম। এরপর আর মাঠে নামা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক ম্যাচের বিষয়টাই আলাদা। ঘরোয়া লীগে তো নিজেদের মধ্যেই খেলতে হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচে জেতার অনুভূতিটা অন্যরকম। মাঠে কবে নামব সেটার জন্যই অপেক্ষায় আছি।’ নেপালের ম্যাচ নিয়ে তপু বলেন, ‘এই দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ম্যাচগুলো খেলার পরই আমরা ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু করতে চলেছি। সবাই মানসিকভাবে তৈরি। নিজেদের পারফর্মেন্স যাচাই-বাছাইয়ের পর মাঠে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ ফিটনেস নিয়ে তপুর ভাষ্য, ‘যতই অনুশীলন করি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে নামার পরিস্থিতিটা ভিন্ন থাকে। আমরা যারা বসুন্ধরার হয়ে অনুশীলন করেছি তাদের সবার ফিটনেসের অবস্থা খুবই ভাল। এর বাইরে যারা অন্য দলের হয়ে খেলছেন তারা কিন্তু জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে’র দেয়া রুটিন অনুযায়ী চলেছেন। দলের সবাই পেশাদার, বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলছেন। তারা সবাই বিষয়টি নিয়ে সচেতন।’ বাংলাদেশের মতো নেপালও দীর্ঘদিন খেলার বাইরে। তাই ভাল খেললেই তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেন এই সেন্টারব্যাক। নেপালের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র সঙ্গে এরই মধ্যে ছক কষেছেন বলে জানিয়েছেন তপু।
×