ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পকে ভোট দিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে

মার্কিন ভোটারদের তথ্য বেহাত

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ২৩ অক্টোবর ২০২০

মার্কিন ভোটারদের তথ্য বেহাত

মার্কিন নির্বাচনের মাত্র ১২ দিন আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। বুধবার সংস্থাটির পরিচালক জন র‌্যাটক্লিফ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়া ও ইরান কিছু মার্কিন ভোটারের যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর ট্রাম্প সমর্থকদের নামে ডেমোক্র্যাট ভোটারদের হুমকি দিয়ে ই-মেইল পাঠানো হচ্ছে। এফবিআই মনে করছে, আগামী ৩ নবেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিপ্রায়ে এসব করা হচ্ছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের। জন র‌্যাটক্লিফ বলেছেন, ই-মেইলগুলো কট্টরপন্থী ট্রাম্প সমর্থক একটি গ্রুপের নামে পাঠানো হয়েছে। তার মতে অস্থিরতা উস্কে দেয়ার উদ্দেশ্যেই ই-মেইলগুলো পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইরান ও রাশিয়া ভোটারদের কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিদেশী সংস্থা ভোটগ্রহণে হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া তথ্য ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের। তাই ভোটগ্রহণের আগে গোয়েন্দা সংস্থার এই অস্বাভাবিক সংবাদ সম্মেলনকে মার্কিন সরকারের ওই আশঙ্কার পক্ষে সমর্থন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। র‌্যাটক্লিফ বলেন, ইরান যে স্পুফ ই-মেইলগুলো পাঠিয়েছে, সেগুলোতে ট্রাম্পের কট্টরপন্থী সমর্থক গ্রুপ প্রাউড বয়েজের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটারদের ভয় দেখাতে, বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে এসব পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছে এফবিআই। সংস্থাটির ধারণা নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হতে পারে, যা বিভ্রান্ত্রি, বিশৃঙ্খলা ছড়ানো এবং আমেরিকান গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস হ্রাস করানোর প্রচেষ্টার অংশ হতে পারে। তবে ভোটারদের উদ্দেশে র‌্যাটক্লিফ বলেছেন, কেউ যদি ভয় দেখানো বা হস্তক্ষেপমূলক ই-মেইল পান, তবে ভয় পাবেন না বা মেইল ছড়াবেন না। এটি মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিরোধীদের মরিয়া প্রচেষ্টা। ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছিল যে ক্রেমলিন সমর্থিত হ্যাকাররা সাইবার হামলা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচার ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল। সন্দেহজনক ই-মেইলগুলো একাধিক রাজ্যের শুধু ডেমোক্র্যাট ভোটারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেসব মেইলে ট্রাম্পকে ভোট দিতে বলা হয়েছে। এক মেইলে লেখা হয়েছে, আপনি ভোটের দিন ট্রাম্পকে ভোট দেবেন, অন্যথায় আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব। আপনার সমর্থন পরিবর্তন করে রিপাবলিকানদের সমর্থন করুণ যেন আমরা জানতে পারি যে আপনি আমাদের মেসেজ পেয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত চার কোটি মার্কিন নাগরিক এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়েছেন। এফবিআইয়ের অপর কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ওয়ারি বলেন, ভয়ের কোন কারণ নেই। মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থা এখনও সুরক্ষিত। এখানে প্রত্যেক ভোটারের ভোট গণনা করা হবে। তবে ঠিক কত সংখ্যক ভোটারের তথ্য বেহাত হয়েছে- এ বিষয়টি আপাতত জানাতে পারেনি এফবিআই। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চরম অবনতি শুরু করে। ইরানের ওপর কয়েক দফা অবরোধ আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
×